বিশ্বব্যাংকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক হাতে নিলো সংসদীয় কমিটি

বিশ্বব্যাংকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক হাতে নিলো সংসদীয় কমিটি

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি বলেছে “বিশ্বব্যাংক এ ধরনের ধানাইপানাই করে রোহিঙ্গাদের স্থায়ী বসবাসের ব্যবস্থা করতে চায়। রোহিঙ্গাদের সেলেটমেন্টের জন্য এটা-সেটা প্রস্তাবনা মানা যাবে না। আমরা স্পষ্টতই এর বিরোধিতা করেছি। আমরা খুব কঠোরভাবে বলেছি, বিশ্বব্যাংকের ঘাপলার চক্করে যেন আমরা না পড়ি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেছি, আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হবে, আমরা তাদের সাময়িক জায়গা দিয়েছি। আপনারা তাদের মিয়ানমারে ফেরতের যাবতীয় ব্যবস্থা করুন। আমাদের এখানে থাকার জন্য তাদেরকে ভবন তৈরি করে দেবেন, তাদের চাকরির সুযোগ করে দেবেন, জমি কেনার সুযোগ দেবেম, এসব ধানাইপানাই নয়। তাদের পড়াশুনার কথা বলছে।

সেটা আমাদের এখানকার রোহিঙ্গাদের কেন? মিয়ানমারেই তো এখন ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গা আছে, তাদেরকে আগে লেখাপড়ার ব্যবস্থা করুন। সেখানে দুই বছর এটা চালু করলে দেখা যাবে, এটার পরিণতি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে যে কোনও ধরনের আলোচনায় মন্ত্রণালয় যেন বলে তারা শরণার্থী নয়, বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী। কাজেই আলোচনার প্রথম এজেন্ডা হবে তাদের কীভাবে ফেরত পাঠানো যাবে।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশ্ব ব্যাংককে বলেছে, তারা আমাদেরকে এসব টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে কেন? এখানে তাদের জমি কেনার কথা বলা হচ্ছে কেন? এই প্রস্তাবগুলো আপনারা মিয়ানমারকে দেন।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমাদের এখানে ৯/১০ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে তিনশ’ জনেরও কম আছেন, যারা গ্র্যাজুয়েট। তাদের তো সেই দেশেই পড়াশুনা করার অধিকার নেই।

বিশ্বব্যাংক চাইলে মিয়ানমারকে টাকা দিক সেদেশের রোহিঙ্গাদের পড়াতে।’ এদিকে রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়ন এদেশে তাদের স্থায়ী বসবাসে উৎসাহিত করবে বলে বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ইস্যুকে পাশ কাটিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে।এখানকার জায়গা সংকটের কারণেই আমরা ভাসান চরে তাদের নিচ্ছি। তাছাড়া এটা আমাদের বনের জমি। তাদের কারণে আমাদের বন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password