জানালার গ্রিলের সঙ্গে শিশুর ফাঁস দেয়া লাশ, জনমনে সন্দেহ

জানালার গ্রিলের সঙ্গে শিশুর ফাঁস দেয়া লাশ, জনমনে সন্দেহ

বগুড়ায় ঘরের জানালার গ্রিলে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া এক শিশুর লাশ পাওয়া গেছে। তার নাম নিলা খাতুন (১০)। সদর থানা পুলিশ বুধবার রাতে শাখারিয়া ইউনিয়নের নামাবালা গ্রামে ভাড়াবাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।এ ব্যাপারে শিশুটির বাবা-মা কিছু বলতে পারছেন না। পুলিশ আত্মহত্যা বললেও প্রতিবেশীরা তা বিশ্বাস করছেন না।

সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির ও তদন্ত কর্মকর্তা এসআই গফুর আল আশিক জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে এটি আত্মহত্যা নাকি ধর্ষণ করা হয়েছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সদর থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা হয়েছে।

পুলিশ ও স্বজনরা জানান, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার চরপাড়া গ্রামের ভাজাপোড়া বিক্রেতা লিটন সরকার সদরের শাখারিয়া ইউনিয়নের নামাবালা গ্রামে শ্বশুরবাড়ির কাছে ভাড়া বাসায় থাকেন। তার স্ত্রী সুলতানা বেগম স্থানীয় একটি ঢালাই কারখানার শ্রমিক। তাদের মেয়ে নিলা স্থানীয় একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। বাবা ও মা কাজে বাহিরে ছিলেন।

বুধবার সন্ধ্যার দিকে এক আত্মীয় বাড়িতে ঢুকে দেখেন ঘরে টিভি চলছে। শিশু নিলার লাশ খাটের ওপর হাঁটু মোড়া অবস্থায় জানালার গ্রিলের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া। খবর পেয়ে শিশুর বাবা-মা বাড়িতে আসেন। সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এসআই গফুর আল আশিক জানান, প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। শিশুর বাবা-মা এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারছেন না।

তবে প্রতিবেশীরা জানান, নিলা এলাকার বাচ্চাদের সঙ্গে পিকনিক করতে চেয়েছিল; কিন্তু বাবা-মা রাজি হননি। প্রতিবেশীদের অনেকের সন্দেহ বাড়িতে কেউ না থাকায় দুর্বৃত্তরা তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ জানালার গ্রিলের সঙ্গে হাঁটু মোড়া অবস্থায় ঝুলিয়ে রেখে গেছে।

পুলিশ কর্মকর্তার ধারণা, পিকনিকে যেতে না দেয়া ও অতিরিক্ত টেলিভিশন দেখার জন্য শাসন করায় শিশুটি অভিমানে আত্মহত্যা করতে পারে। এরপরও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password