ডাকাতির আতঙ্ক নিয়ে রাত পার করছে রাজধানীবাসী। ডাকাতির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে করা হয়েছে মাইকিংও। পুলিশবিহীন রাজধানীতে কিছু এলাকায় রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এতে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্ক। নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে মানুষ। ডাকাতি ঠেকাতে অনেক এলাকায় রাতভর পাহারা দিচ্ছে এলাকাবাসী।
বাসিন্দারা বলেছেন, থানা-পুলিশের কার্যক্রম শুরু করা এখন খুবই জরুরি। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বছিলা, কালশী, ইসিবি চত্বর, উত্তরা, বাড্ডা ও ধানমন্ডি এলাকায় ডাকাতির চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। আতঙ্কে কিছু এলাকায় রাত জেগে পাহারা বসিয়েছে ছাত্র–জনতা। কোথাও কোথাও মসজিদের মাইকে দেওয়া হচ্ছে সতর্কতার বার্তা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও পোস্ট করা হচ্ছে এমন তথ্য। গতকাল বুধবার গভীর রাতে কাজীপাড়ার বাঁশপট্টি এলাকায় একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ওই দিন গভীর রাতে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে ও আদাবরে একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
উত্তরা ১১, ১২ ও ১৪ নম্বর সেক্টরে ডাকাতি হচ্ছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মসজিদের মাইক থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়। ক্যান্টনমেন্ট থানার ইসিবি চত্বরের পাশে অনলাইন গ্রুপের জমি, ভবন দখল হচ্ছে বলে শোনা গেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের থানার কার্যক্রম না থাকায় বিষয়গুলো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত সোমবার বিকেল থেকে দেশের অনেক থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে থাকে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা-পুলিশের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি। অনেক জায়গায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথি লুট হয়। এরপর রাজধানীসহ সারা দেশে পুলিশি ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ে।
দায়িত্ব বুঝে নিয়ে গতকাল পুলিশ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করেন ময়নুল ইসলাম। সংঘর্ষ-সহিংসতায় যেসব ছাত্র, সাধারণ মানুষ ও পুলিশ সদস্য হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। সব মেট্রোপলিটন (মহানগর), জেলা, নৌ, রেলওয়ে ও হাইওয়ে থানার কর্মকর্তা ও ফোর্সকে নিজ নিজ পুলিশ লাইনসে বৃহস্পতিবার যোগদানের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন