সরকারি ১৩-২০তম গ্রেডে নিয়োগ: শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ

সরকারি ১৩-২০তম গ্রেডে নিয়োগ: শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ

সরকরি চাকরিতে ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য সংগ্রহের এই নির্দেশ দেওয়া হয়।কর্মচারীদের বেতন গ্রেড, পদের নাম, পদ সংখ্যা, মঞ্জুরি করা সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদ সংখ্যা, সরাসরি নিয়োগযোগ্য শূন্যপদের সংখ্যা এবং এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদফতর/পরিদফতরের মতামত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, বেতন গ্রেড ১৩-২০ পর্যন্ত পদে সরকারি নিয়োগের কর্তৃপক্ষ ও পদ্ধতি নির্ধারণ সংক্রান্ত সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রস্তাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ তৈরির জন্য জনপ্রশাসনের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটি গত ২ সেপ্টেম্বর প্রথম সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দফতর/সংস্থার ১৩-২০তম গ্রেডের পদে নিয়োগের লক্ষে ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়।

সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান নিয়োগ বিধিমালার কপি পূরণ করা ছকের সঙ্গে পাঠাতে হবে। ছক অনুযায়ী ১৩-২০তম গ্রেডের মধ্যে গ্রেডভিত্তিক পদ সংখ্যা উল্লেখ করতে হবে।

তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদে দ্রুত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগের জন্য একটি কমিশন গঠন অথবা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মতো তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগ পিএসসির মাধ্যমে দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় করা হয়। এ নিয়ে জনপ্রশাসনের চাহিদামাফিক একটি প্রস্তাব দেয় পিএসসি। ওই প্রস্তাব যাচাইয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে আট সদস্যের যাচাই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলে করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

ওই পর্যালোচনা কমিটিকে ১৩-২০তম গ্রেড পর্যন্ত সরকারি কর্মচারী নিয়োগের কর্তৃপক্ষ ও পদ্ধতি নির্ধারণ, বেষ্টনী (আমব্রেলা) নিয়োগবিধি প্রণয়নের আইনগত ও প্রয়োগিক বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বছরভিত্তিতে একটি সমন্বিত পরীক্ষা নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির জন্য পদভিত্তিক একটি পুল গঠনের বিষয়টির প্রায়োগিক সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।  এছাড়াও বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের অফিসের ১৩-২০তম গ্রেডের কর্মচারী নিয়োগ কার্যক্রম কমিশনের আওতাভুক্ত করা হলে কোনও সমস্যার সৃষ্টি হবে কিনা তার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্যও বলা হয়েছিল। কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, অর্থ বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ, সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের যুগ্মসচিব পর্যায়ের একজন করে কর্মকর্তা এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা) ও যুগ্মসচিব (বিধি-১) সদস্য হিসেবে রয়েছেন। জনপ্রশাসনের উপসচিবকে (বিধি-১) সদস্য সচিব করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৮ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পিএসসির প্রস্তাব যাচাই করে কমিটিকে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছিল।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password