প্রকল্পের টাকা চেয়ারম্যানের পকেটে, স্বেচ্ছাশ্রমে সংযোগ সড়ক বাঁধলেন এলাকাবাসী

প্রকল্পের টাকা চেয়ারম্যানের পকেটে, স্বেচ্ছাশ্রমে সংযোগ সড়ক বাঁধলেন এলাকাবাসী

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের নামাপাড়া গ্রামের রাস্তা ও ব্রিজের সংস্কার করা বাবদ ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ টাকা এলাকাবাসীকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে পকেট জাত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক। এতে করে এলাকায় ব্যাপক চ্যাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরের কাবিখা প্রকল্পের আওতায় বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের হাছিয়া নামাপাড়া গ্রামের কাঠগড়ি নদীর উপর দিয়ে রাস্তা ও ব্রিজের মুখটি সংস্কার করার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় হতে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর প্রথম কিস্তি ও চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি দ্বিতীয় কিস্তির ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল হক। তবে বাস্তবে রাস্তাটি সংস্কার করেননি তিনি।

এদিকে উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের হাছিয়া নামাপাড়া গ্রামের রাস্তা ও ব্রিজের দুই মুখ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছিলেন গ্রামবাসী। একাধিকবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হকের সাথে যোগাযোগ করেও কোন সুফল পাননি তারা। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান জুয়েলের অর্থায়নে ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তা ও ব্রিজের দুই মুখ স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করেছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, চেয়ারম্যান রাস্তা ও ব্রিজের মুখটি ঠিক না করায়, আমরা গ্রামবাসী মিলে কাজটি করেছি। এখন শুনছি চেয়ারম্যান ওই রাস্তাটি বাধাঁর জন্য আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। কিন্তু, কোন কাজ করেননি তিনি। কাজের টাকা তিনি নিজের পকেটে রেখে দিয়েছেন। কিন্তু, চেয়ারম্যান রাস্তা সংস্কার না করে টালবাহানা করছেন।

টাকা উত্তোলনের পরেও সংস্কার কাজটি না করার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসীসহ সচেতন মহল।

রাস্তাটি সংস্কার কেন করা হয়নি সে বিষয়ে বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, রাস্তা ও ব্রিজের মুখটি বাধঁতে শ্রমিক দিয়ে হবেনা, ভেকু (স্কেবেটর) দ্বারা করতে হবে। ভেকু না পাওয়া যাওয়ায় কাজটি করতে দেরি হচ্ছে।

সার্বিক বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোশফিকুর রহমান জানালেন, ওই রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে, প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল হক।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password