প্রেমিকার বাড়িতে প্রেমিককে আটক করার ১৫ ঘন্টা পর প্রেমিকের বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রেমিকার স্বজনরা। এ ঘটনায় অন্তত আরো ৭জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ছয়ানী ইউপির রুদ্রপুর গ্রামের পাঁচ বাড়িয়া এলাকার কুলা বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো.পারভেজ হোসেন বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের জুবিখালী গ্রামের কাজাগো বাড়ির আবদুর রহিমের ছেলে। সে পেশায় একজন দর্জি ছিলেন।আহতরা হলেন, জিহাদ, জাহেদ, জুয়েল, মানিক, রিয়াদ, ফরহাদ এবং আজাদ।

স্থানীয়রা জানান, সুজন সোমবার সন্ধ্যায় তার প্রেমিকার ফোনে কল পেয়ে প্রেমিকার বাড়িতে যায়। সন্ধ্যার দিকে সুজন প্রেমিকার বাড়িতে গেলে প্রেমিকার বাবা শাহ আলম ও এলাকার লোকজন সন্ধ্যায় তাকে আটক করে। এভাবে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তাকে আটকে রেখে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন তারা। অন্যথায় তাদের মেয়েকে বিয়ে করতে হবে বলে জানায়। খবর পেয়ে আটক সুজনের ভাই ও কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি রাতেই প্রেমিকার বাড়িতে যায় সুজনকে ছাড়িয়ে আনতে। রাতে তারা সুজনকে ছাড়িয়ে আনতে ব্যর্থ হয়।

পরবর্তীতে মঙ্গবার সকালে সুজনের ভাই ও বন্ধুরা একত্রিত হয়ে পুনরায় প্রেমিকার বাড়িতে গেলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রেমিকার পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এসময় তারা আটক প্রেমিক সুজনের বন্ধু পারভেজকে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর প্রেমিকা স্বপ্না আক্তার, তার বাবা শাহআলম ও ভাইসহ সবাই পালিয়ে গেছে বলে এলাকাবাসী জানায়।  

বেগমগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ কারুজ্জামান সিকদার জানান, আটক যুবককে প্রেমিকার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।