চাহিদা মেটাতে দ্রুত স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে : অর্থমন্ত্রী

চাহিদা মেটাতে দ্রুত স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে : অর্থমন্ত্রী

১ হাজার ৯১ কোটি ব্যয়ে পাঁচ ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন

বাড়তি চাহিদা মেটাতে দ্রুত স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, এলএনজি দরকার তাই স্পট থেকে কিনেছি। কিন্তু বিভিন্ন সোর্স থেকে আমাদেও যে লং টাইম চুক্তি রয়েছে সেগুলো অব্যাহত রাখা হবে। লং টার্মে একরকম দাম এবং স্পট থেকে কিনলে আরেক রকম প্রাইজ।

বুধবার বিকালে অনলাইনে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সিঙ্গাপুরের কোম্পানি ভিটল এশিয়া পিটিই লি থেকে ৬২৩ কোটি ৬৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬৭ টাকার ৬৭ লাখ ২০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটিতে দুইটি প্রস্তাব ও ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে ৫টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় সংক্রান্ত অনুমোদিত ৫টি প্রস্তাবের অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৯১ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার ৫১২টাকা। মোট অর্থায়নের সম্পূর্ণই জিওবি থেকে যোগান দেয়া হবে। তিনি বলেন, বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলার মাধ্যমে ৬ষ্ঠ এলএনজি কার্গোর আওতায় সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লি. এর কাছে থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৩১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৩ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়।

একই সাথে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক ৭ম এলএনজি কার্গোর আওতায় ভিটন এশিয়া পিটিই লি. সিংগাপুরের কাছ থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৩১২ কোটি ৬৫ লাখ ২৪ হাজার ২২৪ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়।

এলএনজি কেনার জন্য নির্ধারিতদের ভিটল এশিয়া বিভিন্ন দেশে ব্লাকলিস্টেড বা কালো তালিকাভূক্ত, তাদের থেকে কেনা হচ্ছে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে তারা ব্লাকলিস্টেড না। বিভিন্ন দেশে তারা ব্যবসা করে আমাদের দেশে তো তারা ব্যবসাই করেনি এখনও। আমরা প্রকিউরমেন্ট করি আমাদের স্বার্থে। তারা সেখানে ব্লাকলিস্টেড হলে আমাদের তো ক্ষতি হচ্ছে না। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি না পাই তাহলে তাদের যে সিকিউরিটি আছে সেটা প্রফিট হবে। সরবরাহ যখন করবে সেটার প্রেক্ষিতে তারা টাকা পাবে। ফলে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে না। আমার জানা নেই তারা ব্লাক লিস্টেড।

খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় কি জানিয়েছে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে তাদের যে চাহিদা সেটি আমাদের অবহিত করেছে। চাহিদায় তারা বলেছেন খাদ্য অধিদপ্তরের ২০২১ সাল পর্যন্ত চাহিদা এবর্ং বর্তমানে মজুদ সম্পর্কে আমাদের অবহিত করেছে।

আসলে এটি এই কমিটিকে অবহিত করার বিষয় নয়। তারা যখন প্রকিউরমেন্টের জন্য খাদ্য শস্য পারচেজ করার কোন বিষয় থাকলে তাহলে সেগুলো আমাদের কাছে নিয়ে আসে। পাশাপাশি পারচেজের সময় পুরো প্রপোজালটা আমাদের কাছে নিয়ে আসতে হবে, সেটি আমাদের এই কমিটির আওতায় পড়ে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password