আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী থেকে ঝুমুর পর্যন্ত এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। আটজনের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁর কলেজছাত্রের নাম সাদ আল আফনান। সে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। শহরের ঝুমুর এলাকায় সে গুলিবিদ্ধ হয়। বাকি সাতজনের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানাল পুলিশ।
নিহত আফনানের মামা হারুনুর রশিদ বলেন, আফনানকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মাথায় গুলি করে ও পিটিয়ে হত্যা করেছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য নোয়াখালীতে নেওয়ার পথে বেলা তিনটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দুই মাস আগে সৌদি আরবে মারা যান আফনানের বাবা সালেহ আহমদ। এক মাস আগে তাঁর লাশ দেশে এনে দাফন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পিছু হটেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের একটি অংশ অবস্থান নেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহউদ্দিনের বাসায়।
আন্দোলনকারীদের একটি অংশ বাসার সামনে গেলে তাঁদের লক্ষ্য করে বাসার ভেতর থেকে শটগানের গুলি ছোড়া হয়। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) অরূপ পাল বলেন, নিহতদের মধ্যে তিনজনের লাশ সদর হাসপাতালে রয়েছে। আহত ৬০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৫০ জন গুলিবিদ্ধ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন