কক্সবাজারে পাহাড় ধসে রোহিঙ্গাসহ নিহত-১২

কক্সবাজারে পাহাড় ধসে রোহিঙ্গাসহ নিহত-১২

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলায় পাহাড় ধসে একই পরিবারের ঘুমন্ত ৫ ভাই বোন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দিনগত রাত পৌনে ২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ভিলেজারপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরআগে মঙ্গলবার বার উখিয়া ও টেকনাফে পাহাড় ধসে রোহিঙ্গাসহ ৭ জন নিহত হন। আহত হয়েছে আরও ২ জন। পাহাড় ধসের ঘটনায় উখিয়া ও টেকনাফে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ১২ জনে।

জানা গেছে, ভিলেজারপাড়ার পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী ছৈয়দ আলমের পরিবারের সদস্যরা প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতেও বাড়ীতে ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু রাত পৌনে ২টার দিকে অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড় ধ্বসে মাটির নিচে চাপা পড়ে যায় সৈয়দ আলমের ঘুমন্ত ৫ সন্তান। মাটির নিচ থেকে প্রথমে ২ জন ও পরে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পাহাড় ধসের ঘটনায় হ্নীলা ইউনিয়নের ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের ভিলেজার পাড়ার বাসিন্দা ছৈয়দ আলমের ৫ সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ির পাশের পাহাড় ধসে পড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে, এরআগে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকাল ১১ টার দিকে 

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পানবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভূমি ধস ও পানিতে ভেসে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বালুখালীস্থ পানবাজার ক্যাম্প ১০ এ ভূমি ধসে মারা গেছেন ৫ জন। পালংখালীস্থ ক্যাম্প ১৮ তে পানিতে ডুবে মারা গেছে এক শিশু। এঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২ জন।হতাহতরা সবাই রোহিঙ্গা নাগরিক বলে নিশ্চিত করেন

কক্সবাজারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামুদ্দৌজা নয়ন।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে টেকনাফে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনির ঘোনা গ্রামের পাহাড় ধসে নিহত হন রকিম আলী (৬৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সর্বত্র আতংক বিরাজ করছে। 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password