কক্সবাজারে পর্যটকদের হয়রানি ও ডিসি অফিসে অভিযোগ

কক্সবাজারে পর্যটকদের হয়রানি ও ডিসি অফিসে অভিযোগ
MostPlay

বিজয় দিবস ও সাপ্তাহিক মিলিয়ে টানা তিন দিনের ছুটি আনন্দের সাথে কাটাতে, লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত শহর কক্সবাজারে। পরিবার পরিজন নিয়ে পর্যটন শহরে এসে উল্টো হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা।

হোটেল ভাড়া, খাবার-দাবার থেকে শুরু করে এখানে আসা পর্যটকদের গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাগরপাড়ে ঘুরতে আসা পর্যটকরা।পর্যটকেরা এত বেশি ক্ষুব্ধ যে, অনেকেই কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে হোটেল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।

জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে বিচার দিতে আসা যশোরের শার্শায় আশরাফুল সর্দার জানান, তিনি পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন। যে মানের হোটেল রুম দেওয়ার কথা ছিল, তা দেওয়া হয়নি। আর ভাড়াও নেওয়া হয়েছে বেশি। এবারের ছুটিতে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন চার লাখের অধিক পর্যটক।

এই সুযোগকে কাজে লাগাতে তৎপর অসাধু ব্যবসায়ীরা। যা স্বীকার করছেন একাধিক হোটেল মালিক। কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোনে ঘুরে জানা যায়, ৫০০ টাকার হোটেল রুমের ভাড়া এখন ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। খাবারের দামও বেশ ঊর্ধ্বমুখী।

পরিবহন ভাড়াও বেড়েছে কয়েক গুণ।এতে পর্যটকদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় হোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, যে সমস্ত হোটেল মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দেখা গেছে, তারা মাথাপিছু হিসাবে পর্যটকদের সঙ্গে চুক্তি করে অতিরিক্ত দামে রুম ভাড়া দিয়েছেন।

আবার কোনো কোনো হোটেলে বাসের যাত্রীরা অবস্থান করছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আর যেসব অননুমোদিত হোটেলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান আবুল কাসেম। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) আবু সুফিয়ান বলেন, পর্যটকদের হয়রানির একের পর এক অভিযোগ পেয়ে কয়েকটি হোটেলে অভিযান ও জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password