প্রতারনা করে তিন বিয়ে ,চতুর্থ বাড়ে গ্রফতার

প্রতারনা করে তিন বিয়ে ,চতুর্থ বাড়ে গ্রফতার

এ যেনো প্রতারনার ফাঁদ পেতে বসে আছে এক প্রতারক। একের পর এক বিয়ে করেই চলছে । অনলাইনের মাধ্যমে এই প্রতারনার ফাঁদে পা দিচ্ছে হাজারো নারী পুরুষ। এবং প্রতারনার শিকার হচ্ছে বেশি নারীরাই। প্রথম বিয়ে করে প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছে অসৎ চরিত্রের অপবাদ দিয়ে। এ সময় তাদের সংসারে চার বছরের এক শিশুকন্যা ছিল। তারপর দ্বিতীয় বিয়ে , দ্বিতীয় স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়ে ভুয়া তথ্য দিয়ে তৃতীয় বিয়ে করেন। তবে এ সব বিয়েগুলো হয়েছিল ফেসবুকের পরিচয় সূত্র ধরে। চতুর্থ প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এসে পুলিশের ফাঁদে ধরা পরে আবু রায়হান নামের এক যুবক।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) তৃতীয় স্ত্রীর করা প্রতারণা মামলায় গ্রফতার হয় আবু রায়হান। গ্রেপ্তারের পর তাকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে শাজাহানপুর থানা পুলিশ। এর আগে শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রায়হানকে বগুড়া সাতমাথা থেকে গ্রেপ্তার করে করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আবু রায়হান মনির (২৭) বগুড়া সদরের আকাশতারা গ্রামের সেনাসদস্য (অব.) আব্দুর রহমানের ছেলে। মনির বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (বিট) বগুড়া থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার পাসের পর একটি কসমেটিকস কোম্পানির সেলসম্যান হিসেবে কর্মরত।

থানা থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত আবু রায়হান ফেসবুকে শাজাহানপুর উপজেলার টেকুরগাড়ী গ্রামের অনার্স চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তারপরে তার আসল নাম-পরিচয় গোপন করে ভুয়া পরিচয়ে ২০২০ সালের জুনে ওই ভুক্তভোগী ছাত্রীকে বিয়ে করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কৌশলে শাশুড়ির কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয় রায়হান। পরে রায়হানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে থানায় নারী ও শিশু ডেস্কে সহায়তা চায় ভুক্তভোগী ছাত্রী। নানা কৌশল অবলম্বন করে অবশেষে হোয়াটসঅ্যাপে নারী সেজে প্রেমের অভিনয় করে ফাঁদে ফেলে শুক্রবার রায়হানকে বগুড়া সাতমাথা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশের নারী ও শিশু ডেস্কের কর্মকর্তা এসআই জেবুন্নেছা জানান, আবু রায়হান মনিরকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসে তার প্রতারণার অজানা তথ্য। ২০১২ সালে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নিশি আকতার নামে এক নারীকে প্রথম বিয়ে করে। সংসার জীবনে তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। শিশুকন্যার বয়স যখন চার বছর তখন অসৎ চরিত্র অপবাদ দিয়ে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেয় রায়হান। এরপর ২০১৭ সালে বগুড়া সদরের পীরগাছা এলাকার সানজিদা নামে আরেক নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দ্বিতীয় বিয়ে করে। এ সংসারও বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে তাকে ডিভোর্স না দিয়ে শুধু সম্পর্ক ছিন্ন করে তৃতীয় বিয়ের পিঁড়িতে বসে রায়হান। তবে তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করে শেষ রক্ষা হলো না রায়হানের।

পরে রায়হানকে ধরতে চতুর্থ নারী হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে এক নারীকে প্রেমিকা সাজিয়ে দেখা করার জন্য ডেকে এনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গ্রেপ্তারকৃত আবু রায়হান মনির একজন প্রতারক। মামলার পর তাকে আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password