বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে রহিমা বেওয়া (৬৫) নামে এক বৃদ্ধার কান ছিঁড়ে ছিনতাই হওয়া স্বর্ণের দুল উদ্ধার করেছে পুলিশ। ছিনতাইয়ের ৯ ঘন্টা পর রতন নামের এক যুবকের বাড়ি থেকে এটি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় রতনসহ আরো তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ওই নারীর ছেলে রুবেল হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

গ্রেফতাররা হলেন, সান্তাহার ঢাকাপট্টির মৃত আতোয়ার রহমানের ছেলে তুষার ইসলাম রতন (২৯), সান্তাহার কলসা রথবাড়ির মৃত অরুন চন্দ্র সরকারের ছেলে মিঠু ওরফে আটুল (৩৬) ও নওগাঁ সদরের পাথরকুটা গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে শহিদ হোসেন (২৮)। বুধবার রাতেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার দমদমা গ্রামের মৃত কছির প্রামানিকের স্ত্রী রহিমা বেওয়া পেনশনের টাকা তুলতে সান্তাহার পূবালী ব্যাংকে যাচ্ছিলেন। পথে সান্তাহার পৌর শহরের ডালপট্টিতে ছিনতাইকারীরা পিছন থেকে ওই নারীকে ডাক দিয়ে তাকে দাঁড় করান। পরে তার বাম কানের দুলে টান দেন তারা।

ওই সময় বৃদ্ধার কানের লতি ছিঁড়ে তিন আনা ওজনের স্বর্ণের দুলটি ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান তারা। এতে ওই বৃদ্ধার কান থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। খবর পেয়ে মামলার বাদী রুবেল পুরাতন বাজারের দোকান থেকে দৌঁড়ে এসে তার মাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি চিকিৎসালয়ে নিয়ে যান।

ফাঁড়ি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল ওয়াদুদ জানান, রতনকে গ্রেফতারের পর তার প্রাথমিক জবানবন্দি অনুযায়ী স্বর্ণের দুলটি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও গ্রেফতার বাকি দুজনও এ ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আরিফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতার রতনসহ সকলেই মাদকাসক্ত। তাদের বিরুদ্ধে থানায় বেশ কয়েকটি মামলাও রয়েছে। মাদকের টাকা সংগ্রহ করতে তারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।