ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভুয়া ডাক্তার

ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভুয়া ডাক্তার

ইউনানী থেকে পড়াশোনা করে বনে গেছেন অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার ডাক্তার। চিকিৎসা করেন হৃদরোগ, লিভার, জন্ডিস, বাতজ্বরের মতো কঠিন রোগের। এমনকি করেন হার্ট সার্জারিও।রাজধানীর মতিঝিলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে এভাবে প্রতারণামূলকভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিলেন মিজানুর রহমান। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, অভিযান চালিয়ে ওই ভুয়া চিকিৎসককে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়ছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রোববার (২৮ জুন) দুপুর থেকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভুয়া চিকিৎসক ও বিভিন্ন অনিয়মের খোঁজে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র‌্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু।এ সময় মিজানুর রহমান নামে ওই ভুয়া চিকিৎসকের দুই বছরের কারাদণ্ডসহ হাসপাতালের সহকারী সুপার লতিফুর রহমানকে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু বিডিটাইপকে জানান, মিজানুর রহমান ইউনানী প্র্যাক্টিশনার। কিন্তু তার কাছে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, পিএইচডিসহ বিভিন্ন সার্টিফিকেট আছে। তিনি ইউনানীতে পড়াশোনা করেও অ্যালোপ্যাথিক মেডিসিনে প্রেসক্রিপশন করতেন। এজন্য তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের কারণে লতিফুর রহমানকে চার লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদনহীন অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত ইনজেকশন ও সার্জিক্যাল পণ্য রাখার দায়ে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ফার্মেসিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তিনি জানান, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে অনুমোদনহীন অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত ইনজেকশন ও সার্জিক্যাল পণ্য পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে ফার্মেসির শফিউল ইসলাম ও আব্দুল জলিল নামে দুইজনকে পাঁচ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password