নামী কোম্পানির আদলে নকল জীবাণুনাশক

নামী কোম্পানির আদলে নকল জীবাণুনাশক

বরিশালের বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন কোম্পানির নাম বিকৃত করে নকল জীবাণুনাশক ও সুরক্ষাসামগ্রী বিক্রির অপরাধে দুই ব্যক্তিকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই অপরাধে জরিমানা করা হয়েছে আরও সাতজনকে। এ সময় প্রায় এক লাখ টাকার সমপরিমাণ নকল পণ্য জব্দ করা হয়।

আজ সোমবার দুপুরে বরিশাল নগরের গির্জা মহল্লা এলাকায় এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান। অভিযানে বরিশালের ড্রাগ সুপার অদিতি স্বর্ণা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্র জানায়, নকল জীবাণুনাশকসহ বিভিন্ন সুরক্ষাসামগ্রী বিক্রির বিরুদ্ধে সোমবার দুপুরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্ব অভিযান চালানো হয়। এ সময় নকল স্যাভলন, হ্যাক্সিসলসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রির করায় ড্রাগ অ্যাক্ট ১৯৪০–এর ধারা ১৮ ভঙ্গের অপরাধে সাতজনকে ২৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযানে সজল জমাদ্দার ওরফে রাজীব (৩৪) ও মোস্তফা কামাল (৩০) নামের দুই ব্যক্তিকে একই আইনে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান বিডিটাইপকে বলেন, করোনাভাইরাসের সময় চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত রাজিব ও কামাল অধিক মুনাফার লোভে সব সুরক্ষাসামগ্রী এনে বরিশাল নগরের বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করতেন। তাঁরা ঢাকা থেকে এসব সামগ্রী কুরিয়ারে কিংবা লঞ্চে পরিবহন করে বরিশালে নিয়ে আসেন। ঢাকার মিটফোর্ড এলাকার এক ব্যক্তির যোগসাজশে তাঁরা এই অবৈধ ব্যবসা চালাচ্ছিলেন। অভিযানে প্রায় ১ লাখ টাকার জীবাণুনাশক জব্দ করে তা ধ্বংস করা হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password