দাম কম তবুও মিলছে না ক্রেতা,কপি নিয়ে বিপাকে চাষি

দাম কম তবুও মিলছে না ক্রেতা,কপি নিয়ে বিপাকে চাষি

ক্রেতাদের চোখে সুন্দর লাগলে তবেই বিক্রি করা সম্ভব হবে। তাই ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বিক্রেতাদের চেষ্টার কমতি নেই। এ জন্য তারা থরে থরে সাজিয়ে রেখেছে বাঁধাকপি ও ফুলকপি। এত কিছুর পরেও মিলছে না ক্রেতা। আজ শুক্রবার বিকালে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কান্দিরহাটে গিয়ে দেখা মেলে এমন চিত্র। শুধু কান্দিরহাটেই নয়, উপজেলা অন্য হাট-বাজারগুলোতেও একই চিত্র।

বিক্রেতারা থরে থরে কপির পসরা সাজিয়ে বসে আছে। কিন্তু ক্রেতা মিলছে না। অনেককে ৪-৫ টাকা জোড়া হিসেবে কপি বিক্রি করতে দেখা গেছে। যা বাজারে ওঠা অন্যান্য সবজির চেয়ে দাম অনেক কম। বাজারে চাহিদার তুলনায় প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি উঠেছে। বাজার করতে আসা ক্রেতাদের অন্যান্য শাকসবজি ক্রয় করতে দেখা গেলেও কপি ক্রয়ে আগ্রহ কম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৫ দিন আগেও এক কেজি ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এখন সেই কপির জোড়া ৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবুও ক্রেতা না পাওয়ায় চরম বিপাকে চাষিরা।

হাটে কপি নিয়ে আসা কৃষক গণেশ চন্দ্র বলেন, যে অবস্থা তাতে সব কপি বিক্রি হবে না। অতিরিক্ত কপি বাড়িতে নিয়ে গেলে পচে নষ্ট হয়ে যাবে। এবার কপি চাষ করে চরম বিপাকে পড়েছি। গরুও আর খেতে চাচ্ছে না। এ বছর ২০ শতাংশ জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছি। প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ দামে বিক্রি করলে সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা বিক্রি হবে। বিক্রেতা আব্দুর রহমান বলেন, বাজারে কপির চাহিদা নেই বললে চলে। দুই শ পিস বাঁধা ও ফুলকপি এনেছি। এখন পর্যন্ত ৬০ পিস কপি বিক্রি করেছি।

বাজার করতে আসা মিজানুর রহমান স্বপন জানান, অন্য সময়ের তুলনায় বাজারে এখন প্রচুর শাকসবজি পাওয়া যাচ্ছে। দামও কম। আগে নিয়মিত কপি খেলেও এখন আর খাওয়া হচ্ছে না।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password