দোহার উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণির পেশার দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীরের মাঝে প্রতিদিন প্রাণবন্ত হয়ে ওঠেছে দোহার মেঘুলা তাঁত বস্ত্র কুটির শিল্প মেলা। এ মেলায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা, নাগরদোলা, পুতুল নাচ, নৌকায় দোল খাওয়া সুযোগ রয়েছে। দর্শনার্থীরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে হরেক রকম নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করছে। প্রতিদিনই মেলায় লোকসমাগম বাড়ছে।
গ্রামীণ ইতিহাস ও ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মানুষকে ঈদের ছুটিতে বাড়তি বিনোদন দিতেই এ মেলা। এ মেলায় যেন দোহার সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সর্বস্তরের মানুষ গ্রামীণ ইতিহাসের হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন শিল্প ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে পারে।
নতুন প্রজন্মের কাছে দেশের শিল্প ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য বজায় রাখতে এ মেলা অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে মেলার আয়জকরা মনে করে। অপরদিকে একই উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের বিলাসপুর ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীর তীরে বসেছে ঈদ আনন্দ মেলা। দোহারে কোন বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় পদ্মা নদীর তীরেই ঘুরতে যান স্থানীরা। পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে মেলায় ঘুরতে যাচ্ছেন অনেকেই।
একপাশে পদ্মা নদীর ঠান্ডা বাতাস, অপর পাশে মেলা। সব মিলিয়ে মনোমুগ্ধকর চমৎকার এক পরিবেশ বলছেন মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনাথীরা। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা আসছে এই মেলায়। তবে বিকেলে দর্শনার্থীদের সংখ্যা থাকে সবচেয়ে বেশি। সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে প্দার তীরে ভীড় করেন অনেকেই। মেলায় ছোটদের জন্য রয়েছে নানারকম বিনোদনের ব্যবস্থা। উভয় মেলা শুরু হয়েছে ঈদউল আজহা থেকে চলবে ৭ দিন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন