যশোরের শার্শার জামতলা বাজারে শফিকুল ইসলাম টোটন (৫০) নামে এক মিষ্টির দোকানি করোনা পজেটিভ শনাক্ত হওয়ার পরও দোকানদারি করে যাচ্ছেন। দেখার কেউ নেই। প্রশাসন তার বাড়ি বা দোকান এখনো লকডাউনের আওতায় না আনায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। শফিকুল ইসলামের বাড়ি বাগআঁচড়া ইউনিয়নের টেংরা গ্রামে।
নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কের জামতলা বাজারের পশ্চিম পাশে ‘সজীব মিষ্টান্ন ভান্ডার’-এর মালিক শফিকুল ইসলামের শরীরে গত ২৫ জুন করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। শার্শা উপজেলা হাসপাতালে নমুনা (ক্রমিক নম্বর-২৭) দেওয়ার পর পরীক্ষাগার থেকে তার পজেটিভ ফল আসে। তাকে ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়। তারপরও তিনি মিষ্টির দোকানে দেদার্ছে বসছেন।
অভিযোগ রয়েছে, এলাকায় করোনা পরীক্ষা করে যাদের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে তাদের কারো বাড়ি প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো লকডাউন করা হয়নি। যে কারণে তাদের অনেকেই বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শফিকুল ইসলাম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেন, ‘আমার করোনা হয়েছিল। এখন সেরে গেছে। তাই দোকানদারি করছি।’ কিন্তু করোনা নেগেটীভ ফলাফল দেখাতে পারেনি।
মাত্র চার দিনের মাথায় করোনা নেগেটিভ হয় কীভাবে?- এমন প্রশ্নে তিনি কোনো জবাব না দিয়ে ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনের পরীক্ষার ফলাফল উপজেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দিই। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মোবাইল ফোনে জানিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসায় অবস্থান করে চিকিৎসা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে থাকি। ওই লোক আক্রান্ত হয়েও কীভাবে দোকানদারি করছে- এটা আমার জানার বাইরে।’
যোগাযোগ করা হলে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা বলেন, ‘কেন তার বাড়ি দোকান লকডাউন করা হয়নি সেটা আমার নলেজে নেই। আপনি বললেন, আমি এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন