পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের গুলিতে চাকমা কার্বারী নিহত

পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের গুলিতে  চাকমা কার্বারী নিহত
MostPlay

পার্বত্য রাঙামাটির জুড়াছড়িতে পাহাড়ি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে  পাত্তরমনি চাকমা(হরষকানা) (৬৩) নামের ষাটোর্ব্ধ এক গ্রাম্য কার্বারিকে  হত্যা হয়েছে।  রোববার গভীর রাতে জুড়াছড়ি উপজেলাধীন ১নং জুরাছড়ি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড এর লুলংছড়ি এলাকায় নিজ বাড়িতে সন্ত্রাসীদের হাতে এই নিহতের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জুরাছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কার্মকর্তা (ওসি) শফিউল আযম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত ৯টার দিকে পাথরমণি চাকমা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করার সময় একদল সশস্ত্রী তার বাড়ি ঘেরাও করে। পরে দুজন অস্ত্রধারী বাড়িতে ঢুকে খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ওসি আরও জানান, কারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তা এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে তার শরীরে দুটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।

পাহাড়ের চার আঞ্চলিক দলের কেউই এখন অবধি এই ঘটনা নিয়ে মুখে খোলেনি।তবে তাদের কারো কতৃক উক্ত ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। 

বিগত ১৪ই মার্চ নিরাপত্তা বাহীনির অভিযানে উদ্ধারকৃত  অস্ত্রের

সেদিনের সেই  দায়েরকৃত অস্ত্র মামলায় কার্বারী পাত্তরমনি চাকমা প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন। এই সাক্ষীর থাকার কারনেই উপজাতীয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পাত্তরমনিকে নিজ বাড়িতে ঢুকে ২ রাউন্ড গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।

খবর নিয়ে আরো জানা যায়, রাঙামাটি পার্বত্য জেলার জুরাছড়ি উপজেলার দুর্গম বনযোগীছড়া হচ্ছে সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আবাসন।

সমগ্র উপজেলা ও ২নং বনযোগীছড়া ইউপির ২ নং ওয়ার্ড সন্তু লারমার জেএসএসের একক আধিপত্য প্রকট। সাধারণ মানুষ একপ্রকার জিম্মি সন্ত্রাসীদের অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের কাছে৷ বেশ করে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় হওয়ার ফলে এখানে অবাধে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া চলে প্রতিনিয়ত। অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সামরিক পোষাকে দেখা যায় ২২ থেকে ৩০ বছরের যুবকদের। তাদের বেশিরভাগের হাতে একে-৪৭ অস্ত্র ও এম-১৬ এর মত ভারী অস্ত্র রয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ৷ পাহাড়ি সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে গণচাঁদা উত্তোলন করার পাশাপাশি তারা এলাকায় ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মানুষদেরকে তাদের অনুগত করতে বাধ্য করে বলেও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। অবৈধ অস্ত্রধারীরা এখানে রাস্ট্রীয় বাহিনীর মত নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে তাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। তাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ উপযোগী আবাসন এ বনযোগীছড়া, মৈদং ও দুমদুম্যার দুর্গম অরণ্য গুলো৷

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password