মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়ে লক্ষণ পাল (৩৭) নামে এক ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন। এসময় তাঁর সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে হত্যাকারীরা। নিহত ব্যবসায়ী লক্ষণ হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মোড়াকড়ি গ্রামের মৃত মনোরঞ্জন পালের ছেলে। মনোরঞ্জন পালের ৪ ছেলের মধ্যে নিহত লক্ষণ সবার ছোট। নিহত লক্ষণের স্ত্রী ও তিন বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

শুক্রবার (১২ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পার্শ্বিপাড়া এলাকায় রাজনগর-কর্ণিগ্রাম সড়ক থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। তার গলায় দড়ির দাগ, চোখে মুখে বালু ও পায়ের উরুতে ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলে সুরতহালে পুলিশ উল্লেখ করে।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল শহরের সেন্ট্রাল রোডের ব্যবসায়ী লক্ষণ পাল প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় করতে রাজনগর উপজেলায় যান। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাঁচগাঁও ইউনিয়নের আজাদের বাজার এলাকার বিকাশ ভট্টাচার্য্য নামক এক ব্যবসায়ী সর্বশেষ তাকে মৌলভীবাজারগামী সিএনজি অটোরিকশায় তুলে দেন। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে অন্য এক সিএনজি অটোরিকশা চালক উপজেলার সদর ইউনিয়নের পার্শ্বিপাড়া এলাকায় রাজনগর-কর্ণিগ্রাম সড়কের পাশে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে রাজনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরিচয় শনাক্ত হতে মৃতের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারসহ বিভিন্ন থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ।

শনিবার (১৩ মার্চ) সকালে স্বজনরা রাজনগর থানায় রাখা মরদেহটি লক্ষণের বলে শনাক্ত করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষণ পালের লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

নিহতের বড় ভাই স্বপন পাল জানান, প্রতি শুক্রবার লক্ষণ রাজনগরে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য যেত। রাত সাড়ে ৩টার দিকে আমরা জানতে পারি আমার ভাইয়ের মরদেহ পাওয়া গেছে। পরে আমরা থানায় গিয়ে লাশ শনাক্ত করি।

এ ব্যাপারে রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল হাসিম রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে বিডিটাইপকে এই প্রতিবেদককে বলেন, নিহতের গলায় দড়ি জাতীয় কিছুর দাগ, চোখেমুখে বালু ও ডান পায়ের উরুতে জখমের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের ভাই স্বপন পাল বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশ তদন্তে মাঠে কাজ করছে।