ঝালকাঠি শিক্ষকের গুলিতে বিএনপি নেতা হাসপাতালে

ঝালকাঠি শিক্ষকের গুলিতে বিএনপি নেতা হাসপাতালে

ঝালকাঠির রাজাপুরে এক কলেজশিক্ষকের গুলিতে বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বিরোধীয় জমির সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে রোববার সকালে উপজেলার মেডিকেল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম আব্দুল করিম বাবুল মৃধা (৫৭)। তিনি রাজাপুর উপজেলা বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক। বাবুল মৃধা সাংগর গ্রামের নুরুল হক মৃধার ছেলে। তিনি বর্তমানে মেডিকেল মোড় এলাকায় বরিশাল-খুলনা বাস কাউন্টার পরিচালনা করেন।গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনার পর পুলিশ দুপুরে অভিযান চালিয়ে লালমোন হামিদ মহিলা কলেজের বাংলা প্রভাষক মাহফুজুর রহমানের মেডিকেল মোড়ের বাসা থেকে একনালা বন্দুক, এক রাউন্ড তাজাগুলি, একটি চাকু ও একটি দেশীয় অস্ত্র (গুপ্তি) উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজাপুর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন কলেজশিক্ষক মাহফুজুর রহমান। মাহফুজ মেডিকেল মোড় এলাকার মৃত মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদের ছেলে।পুলিশ ও গুলিবিদ্ধের পরিবার জানায়, বাবুল মৃধাদের সঙ্গে জমি নিয়ে পুরনো বিরোধ রয়েছে প্রভাষক মাহফুজুর রহমানের শ্বশুর মৃত মোহাম্মদ শাহ আলম জোমাদ্দারের।

বিরোধীয় জমিতে মাহফুজুর রহমান শনিবার জোর করে শ্রমিক দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দেন বাবুল মৃধা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়।কিন্তু রোববার সকালে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আবারো কাজ শুরু করলে বাবুল মৃধা ও তার ছোটভাই বরকত বাধা দেন। তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে বাবুলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে প্রভাষক মাহফুজুর রহমান। এতে বাবুলের হাত ও পেটের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সহকারী কনক প্রভা জানান, গুলির আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় বাবুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ আব্দুল করিম বাবুল মৃধার ছোটভাই বরকত মৃধা অভিযোগ করেন, আমাদের জমিতে জোর করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার প্রতিবাদ করায় মাহফুজ গুলি করে। গুলিটি প্রথমে হাতে লাগার পর পেটে লাগে। ভাগ্যক্রমে আমার ভাই বেঁচে আছেন। মাহফুজ একজন মাদকাসক্ত। তিনি ইয়াবাসহ ইতোপূর্বে গ্রেফতার হয়েছেন।রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে একনালা বন্দুক, এক রাউন্ড তাজাগুলি, একটি চাকু ও একটি দেশীয় অস্ত্র (গুপ্তি) উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরে বিভিন্ন স্থানে মাহফুজকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হয়। পরে বিকালে থানায় এসে তিনি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ বাবুল মৃধার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password