চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। দেশজুড়ে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এই অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহীতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহীতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
গত দুই সপ্তাহ ধরে চলা কোটাবিরোধী আন্দোলন এখন সহিংস রূপ পেয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। ঢাকা, রংপুর, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের খবর আসছে।
শেষ খবর পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ঘিরে গত সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ। বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলা সংঘর্ষে ২ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
রাত ১০টার পর আন্দোলনকারীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং সারা দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে তাদের সমর্থনে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান। এদিকে শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েনি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে কোটা আন্দোলন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েনি। শিক্ষার্থীরা যেন ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের লিপ্ত না হয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পরিহার করে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কিছু করলে, ভাঙচুর করা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করবে, এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি শিক্ষার্থীরা সরে যাবে। রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন ঠিক হচ্ছে না। কোটা নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে মতভেদ থাকতেই পারে। কেউ কাউকে কষ্ট না দিয়ে তাদের দাবি জানাবে। শিক্ষার্থীরা আন্দোলন ত্যাগ করে আদালতে যেতে পারে বা যোগাযোগ করতে পারে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন