ভ্যানচালক খুনের অভিযোগে গ্রেফতার-৪

ভ্যানচালক খুনের অভিযোগে গ্রেফতার-৪

খুব তুচ্ছ বিষয়ে এরা মানুষকে নির্দ্বিধায় মেরে ফেলতে পারে। বগুড়াসহ আশেপাশের জেলাগুলোয় তারা প্রায়শই অপরাধ করে বেড়ায়। এসবের মধ্যে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা অন্যতম।

আদমদীঘি উপজেলায় ভ্যানচালককে খুনের অভিযোগে চারজন গ্রেফতারের পর আজ ২৯/০৮/২০২১ইং রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ চক্রবর্তী এমন কথা বলেন। বেলা ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। গতকাল ২৮/০৮/২০২১ইং তারিখ শনিবার আদমদীঘি থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ছিনতাই চক্রের চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আদমদীঘি উপজেলার জিনইর গ্রামের মো. রানা (২৫), মো. জনি (১৯), কোমারপুর গ্রামের মিঠু (২২) এবং জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার ঢেকুঞ্চা গ্রামের মো. শাহীন (৩৫)।গত ২৩ জুন আদমদীঘি উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নে মো. শাহিন আলম (২৭) নামে একজনকে খুন করে তার ব্যাটারিচালিত ভ্যান ও নগদ টাকা ছিনতাই করে অজ্ঞাতরা। পরের দিন তার লাশ উদ্ধার হয়।

এ বিষয়ে নিহতের ভাই মো. জাহাঙ্গীর আলম আদমদীঘি থানায় একটি মামলা করেন।ওই মামলায় চারজনকে ব্যাটারিচালিত ভ্যানসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা খুনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। খুনের পর ওই ভ্যান জয়পুরহাটের মো. শাহীনের কাছে ১০ হাজার টাকায় বিক্রয় করা হয়।পুলিশ জানায়, ২৩ জুন নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রেফতারকৃতরা নওগাঁর রানীনগর উপজেলার বগারবাড়ী এলাকায় যায়। সেখানে গিয়ে আদমদীঘির কড়ই বাজার এলাকায় যাওয়ার শাহিনের ভ্যান ভাড়া করেন অভিযুক্তরা। কড়ই বাজার পৌছার পর তারা শাহিনকে অনুরোধ করে নশরতপুর বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

নশরতপুর যাওয়ার পথে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য একটি ফাঁকা স্থানে যাত্রীরা গাড়িটি থামায়। এরপর পিছন থেকে একজন শাহিনের গলায় গামছা পেচিয়ে ধরে। অন্য অভিযুক্তরা তার পায়ে ও হাতে রশি দিয়ে বেঁধে রাস্তার নিচে জমি নিয়ে যায়। সেখানে শ্বাসরোধ করে শাহিনকে মেরে ফেলে তার মোবাইল, ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, গ্রেফতারদের আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিচারকের কাছে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে। জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, অভিযুক্তরা হত্যার কাজে এই গামছাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে।

এরা একটি আন্তঃজেলা চক্র। বগুড়াসহ আশেপাশের জেলার লোকজনদের সাথে যোগাযোগ থাকে। নিজেদের মাঝে মিথস্ক্রিয়া করে তারা বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়ায়।পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেফতারদের কাছে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো তথ্য নিয়ে আমরা পুলিশের রেঞ্জ মিটিংয়ে আলোচনা করেছি। এই চক্রকে ধরার জন্য বগুড়াসহ অন্য জেলার পুলিশ কাজ করছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password