এবার ‘শরীফ থেকে শরীফা’ ইস্যুতে যা বললেন আজহারী

এবার ‘শরীফ থেকে শরীফা’ ইস্যুতে যা বললেন আজহারী
MostPlay

ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে সরগরম অনলাইন-অফলাইন। সম্প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া পাঠ্যবইয়ের ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে দেশের সর্বত্রই এখন আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ‘শরীফ থেকে শরীফা’ ইস্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও উত্তাল।এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীও।

গতকাল বুধবার রাতে এ বিষয়ে এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট দিয়েছেন আজহারী।

এতে তিনি লিখেছেন, ‘কোন শিয়াল যদি বলে— আমি নিজেকে মুরগি মনে করি, তাহলে কি শিয়ালকে মুরগির সঙ্গে রাখা যাবে? অবশ্যই না। রাখলে মুরগি যেমনি তার অস্তিত্ব হারাবে, ঠিক তেমনি এই রূপান্তর মতবাদের কারণে নারী-পুরুষের প্রাকৃতিক বাইনারিও অস্তিত্ব হুমকিতে পড়বে।’ আজহারী আরও লিখেছেন, ‘আমাদের কোমলমতি শিশুদের ফিতরাত কলুষিত করার মানব অস্তিত্ব বিধ্বংসী এই মতবাদকে স্পষ্ট ভাষায় ‘না’ বলুন। দল-মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সরব প্রতিবাদ করুন। পশ্চিমা এই অসভ্যতার বিস্তার রুখে দেওয়ার সময় এখনই। বিকৃত মনস্করা যেন মনে না করে, দেশের সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষে প্রতিবাদের সামর্থ্য হারিয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডার একটি গল্পের (শরীফার গল্প) পাতা জনসম্মুখে ছিঁড়ে ফেলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব।

জাতীয় শিক্ষক ফোরাম আয়োজিত ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে পাঠ্যপুস্তকের দুটি পাতা ছেড়েন তিনি। বইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে বইয়ের পাতা ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান শিক্ষক আসিফ মাহতাব। পরে তাকে চাকরিচ্যুত করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাক। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই সেই বইয়ের ‘শরীফ থেকে শরীফা’ গল্পের পাতা ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password