নওগাঁ সদর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। অদ্য বিকেল আনুমানিক পাঁচটার সময় দৈনিক আজকের প্রভাত ও দেশ আজকাল পত্রিকার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি মো. সুজন রানা হঠাৎ বুকে ব্যথা ও বমি শুরু করেন।

তাঁকে মুভি বাংলা টিভি ও দৈনিক চিত্র পত্রিকার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি মো. মেহেদী হাসান অন্তর চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে ইমারজেন্সিতে টিকেট কেটে দেখাতে গেলে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার (ডাক্তার) লুমা এই রোগীকেসহ তার রুমে থাকা সব রোগী বের করে দেন। লুমা ঔষধ কোম্পানির রিপেজেনটিভ নবেল হোসেনের দেওয়া উপহার রুমে লাগানোর পর্দার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে কর্তব্যরত ডাক্তার লুমাকে রোগী দেখার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে চড়াও হয়ে ওঠে।

মেহেদী হাসান অন্তর পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে ভিডিও করা শুরু করলে ওই ডাক্তার রাগান্বিত কন্ঠে বলতে থাকে ওষুধ কোম্পানির লোক যে কোনো মুহূর্তে আসবে এবং ডাক্তার ভিজিট করতে পারবে তাদের কোন নিদিষ্ট সময়ের প্রয়োজন নেই। এই বিষয়ে আমাদের কোনো নির্দেশনা নাই। আপনার এতে সমস্যা কি, আপনি ভিডিও কেন করছেন, কার অনুমতি নিয়ে ভিডিও করছেন। একপর্যায়ে ডাক্তারের অনুমতিতে, ডাক্তার রুমে থাকা ঔষধ কোম্পানির রিপেজেনটিভ নবেল হোসেন ও হাসপাতালের ট্রলি ম্যান জাহিদ এসে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ভিডিও ধারণ করা মোবাইল কেড়ে নিয়ে ধাক্কাধাক্কি ও মারধর করে বের করে দেয়।