সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদকের কক্ষে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় আসামিদের বেশির ভাগই বিএনপিপন্থী আইনজীবী। এদের মধ্যে আছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সমিতির সাবেক সম্পাদক এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সমিতির সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল।
এ ছাড়া সমিতির অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক মো. মহসিন রশিদ, সদস্যসচিব শাহ আহমেদ বাদল, সংবিধান সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মামুন মাহবুবকেও আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হামলা-ভাঙচুর, হাতাহাতির পর রাত সোয়া ১১টায় শাহবাগ থানায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন সমিতির সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট মো. রফিক উল্লাহ।
মামলায় অজ্ঞাত আরো দেড় শজনকে আসামি করে তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩২৫, ৩০৭, ৩৭৯, ৩৫৪, ৪২৭, ১১৪ ধারায় হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট, গুরুতর আঘাত, শ্লীলতাহানি ও চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ও ভোট নিয়ে ফের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
গত দুই মাসেরও কম সময়ে এ নিয়ে তিনবার ঘটল এমন ঘটনা। গত ১৫-১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনের পর নতুন করে নির্বাচনের দাবিতে প্রায় প্রতিদিন কর্মসূচি পালন করছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল করছেন তারা। বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের পাল্টা কর্মসূচিও পালন করছেন আওয়ামীপন্থীরা।
এতে কয়দিন পর পরই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গন। নির্বাচনের পর গত ৬ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ইফতার আয়োজনে ভাঙচুর, হাতাহাতি, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ইফতার আয়োজনের ব্যানার, চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
এ ঘটনায় গত ৯ এপ্রিল সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তা রবিউল হাসান শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। পরে ১০ এপ্রিল এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন বিএনপিপন্থী ২৪ আইনজীবী। এরপর গত ৩ মে ফের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, হাতাহাতি, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন আতাউর রহমান নামের এক বয়োজ্যেষ্ঠ আইনজীবী। এ ঘটনায়ও মামলা হয়। এসব মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনও নিয়েছেন আসামিরা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন