শুরু হলো বিশ্ব ইজতেমার ৫৭তম আসরের দ্বিতীয় পর্ব। এ পর্বে অংশ নিচ্ছেন মাওলানা সা'দ কান্দলভির অনুসারীরা। আগের রাতেই কানায় কানায় পূর্ণ টঙ্গীর তুরাগ তীরের ইজতেমা ময়দান। শুক্রবার ফজরের পরই আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিকতা।
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এ বছর ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। প্রথম পর্বের মতো শুক্রবার শুরু হওয়া দ্বিতীয় পর্বেও তুরাগতীরে হাজির হয়েছেন লাখো মুসল্লি। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ আমবয়ান করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ।
সকাল ১০টায় ভারতের মাওলানা ইলিয়াস তালিমের মৌজু, জুমার আগে জুমার ফাজায়েলের ওপর ১০ মিনিট বয়ান করবেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। জুমার পর বয়ান করবেন শেখ মোফলে (আরবি), তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ মনসুর, আসরের পর বয়ান করবেন মাওলানা মোশাররফ, মাগরিবের পর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ, তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা জিয়া বিন কাশেম।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এবারের ইজতেমায় ভারতের দিল্লি মারকাজের মাওলানা সাদ কান্ধলভী না এলেও এসেছেন তার তিন ছেলে। গত বুধবার মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ, মেজো ছেলে মাওলানা সাঈদ ও ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াসসহ ভারতের নিজামউদ্দিন মারকাজের ১৪ জনের একটি দল গত বুধবার সন্ধ্যায় টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে পৌঁছান।
এদিকে টঙ্গীর তুরাগতীরের ময়দানে অবস্থান নেওয়া মুসল্লিদের উদ্দেশে বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকে বয়ান শুরু করেন মুরব্বিরা। বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম জানান, টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার এবারের দ্বিতীয় পর্বে ১২ থেকে ১৪ হাজার বিদেশি মেহমান যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় তিন হাজারের বেশি বিদেশি মেহমান এবং দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লাখো মানুষ টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে এসে পৌঁছেছেন।
মাশোয়ারার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ময়দানে আসা মানুষদের উদ্দেশে বাদ ফজর থেকেই প্রাথমিক বয়ান শুরু করেন তাবলিগের মুরব্বিরা। বৃহস্পতিবার বাদ ফজর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা শরিফ সাহেব। তা বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল্লাহ মনসুর (কাকরাইল মসজিদ)।
প্রথম পর্বের মতো একই নিরাপত্তাব্যবস্থা এ পর্বেও বলবৎ রয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম। ১৬০ একরের মূল ময়দান ছাপিয়ে আশপাশের বিভিন্ন স্থানেও অবস্থান করছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিরা। আত্মশুদ্ধি, সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি আর পরকালীন মুক্তি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ছুটে এসেছেন ইজতেমা ময়দানে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন