'অর্থ নয়, জনগণের ভালোবাসাই আমার পুঁজি' - দোহারে স্বতন্ত্র প্রার্থী আন্তরা হুদার আবেগময় বার্তা

'অর্থ নয়, জনগণের ভালোবাসাই আমার পুঁজি' - দোহারে স্বতন্ত্র প্রার্থী আন্তরা হুদার আবেগময় বার্তা

হেমন্তের শেষে হিমেল পরশ লাগার আগেই নির্বাচনি উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়ল দোহার উপজেলার জামালচর গ্রামে। আগামী সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্য নিয়ে আজ শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫, সন্ধ্যায় এক মতবিনিময় উঠান বৈঠকে উপস্থিত হন প্রয়াত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার কন্যা অন্তরা হুদা।

অন্ধকার ভেদ করে সীমিত আলোয় অনুষ্ঠিত এই উঠান বৈঠকে গ্রামীণ সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আন্তরা হুদা আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, "আমি যে সবসময় আপনাদের পাশে থাকতে পারি, তা নয়। কিন্তু আপনারা ইতোমধ্যেই বহুবার প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে আপনারা আমাকে অনেক ভালোবাসেন। অন্তরা হুদা তার নির্বাচনি লড়াইয়ের ভিত্তি স্পষ্ট করে বলেন যে, এটি সম্পূর্ণভাবে তার নিজস্ব পরিচিতি এবং জনগণের সমর্থনের ওপর নির্ভরশীল।

তিনি ঘোষণা করেন, "আমার প্রচারণার ব্যানার আর ফেস্টুনগুলো কোনো অর্থশালী ব্যক্তির অনুদান বা অর্থায়নে তৈরি নয়, বরং এগুলো আমার নিজস্ব কষ্টার্জিত অর্থায়নে বানানো। অন্য কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা এই ব্যানার-ফেস্টুনগুলো তৈরি করে দিচ্ছেন না।"

তিনি আরও বলেন, তার এই স্ব-অর্থায়িত প্রচেষ্টা তাকে সেই সব প্রার্থীর থেকে আলাদা করে, যারা কেবল অন্যের অর্থের ওপর নির্ভর করে রাজনীতি করেন। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি তার পরিবারের জনসেবার ঐতিহ্য এবং তার স্বতন্ত্র পরিচিতির গুরুত্ব তুলে ধরেন, যা তাকে জনগণের আস্থাভাজন প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সহায়ক হবে বলে তিনি মনে করেন।

বক্তৃতায় অন্তরা হুদা তার প্রয়াত পিতা ও সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা এবং মাতা ব্যারিস্টার সিগমা হুদার জনসেবার আদর্শকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি অঙ্গীকার করেন, তার পিতা-মাতা যেভাবে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জনগণের পাশে ছিলেন, তিনিও সেই একই প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন। এই অঙ্গীকারের মাধ্যমে তিনি তার পারিবারিক ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান জানিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করতে চেয়েছেন।

অন্তরা হুদার এই মতবিনিময় সভায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও বক্তব্য রাখেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মোঃ আক্কাছ, শহীদ দেওয়ান, আওয়াল দেওয়ান এবং আরও দুজন স্থানীয় মহিলা। বক্তারা আন্তরা হুদার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন যে, তিনি নির্বাচিত হলে দোহার উপজেলার উন্নয়ন দ্রুত ও মসৃণ হবে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী অন্তরা হুদার এই আবেগপূর্ণ ও আত্মনির্ভরশীলতার বার্তা জামালচর গ্রামের সাধারণ মানুষের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে বলে স্থানীয় পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password