কুষ্টিয়ায় দুই কলেজ ছাত্রীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম

কুষ্টিয়ায় দুই কলেজ ছাত্রীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম
MostPlay

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুই কলেজছাত্রীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে মো. আশিক শেখ (২৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এতে আহত হয়ে একজন ছাত্রী বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। অপর ছাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রোববার (১২ মার্চ) সকালে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মাজগ্রাম জোরালপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালে ভর্তি ওই ছাত্রীর নাম মোছা. শরিফা আক্তার শোভা (১৮)। তিনি ওই এলাকার কৃষক মো. শরিফুল ইসলামের মেয়ে। অপর ছাত্রী শেফালি খাতুন (১৮) একই এলাকার বজলুর রহমানের মেয়ে। তারা শিলাইদহ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির (মানবিক) ছাত্রী। অভিযুক্ত মো. আশিক শেখ একই এলাকার মো. সলেমান শেখ ওরফে সলের ছেলে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কলেজছাত্রী শোভা ও শেফালীসহ ৮ থেকে ১০ ছাত্রী একটি কোচিং সেন্টারে পড়তে যাচ্ছিলেন। এ সময় বখাটে আশিক একটি দেশীয় অস্ত্র (সোল) হাতে নিয়ে তাদের পেছন থেকে তাড়া করে। তাড়া খেয়ে ছাত্রীরা দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। দৌড়ানো অবস্থায় ওই বখাটে ছাত্রী শোভার মাথায় কোপ মারে।

তখন ওই ছাত্রী হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তার ডান হাতের কয়েকটি আঙুল কেটে আহত হয়। এ সময় আহত শোভাকে উদ্ধার করতে গেলে শেফালীকেও আঘাত করে। এতে তিনি জখম হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক শোভার ডান হাতের আঙুলে সাতটি সেলাই দিয়ে ভর্তি রেখেছেন। আর শেফালীকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ছাত্রী শোভা জানান, ৮ থেকে ১০ জন বান্ধবী একসঙ্গে কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিলেন। সেসময় আশিক ধারালো সোল নিয়ে পেছন থেকে তাড়া করে। তাড়া খেয়ে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তার মাথায় সোল দিয়ে কোপ মারলে তিনি হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তার হাতের আঙুল কেটে যায়।

ওই ছাত্রীর বাবা শরিফুল ইসলাম বলেন, তার মেয়েকে হত্যার উদ্দেশে বখাটে আশিক হামলা করেছে। তিনি থানায় মামলা করবেন বলে জানায়। হামলার শিকার আরেক ছাত্রী শেফালী বলেন, শোভাকে বাঁচাতে গেলে তার ডান হাতে সোল দিয়ে আঘাত করে আশিক শেখ। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার প্রত্যাশা করছেন।

জানা গেছে, ঘটনার পর অভিযুক্ত আশিক শেখ পালিয়েছেন। তবে তার বাবা সলেমান বলেন, তার ছেলে মাদকাসক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন। দুর্ঘটনাবশত ঘটে গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আকুল উদ্দিন বলেন, আহত ছাত্রীর হাতের আঙুলে সাতটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে তিনি বিপদমুক্ত বলে জানান এই চিকিৎসক। কুমারখালী থানার ওসি মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিট অফিসার কাজ করছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password