যেভাবে বুঝবেন প্যানিক অ্যাটাক নাকি হার্ট অ্যাটাক

যেভাবে বুঝবেন প্যানিক অ্যাটাক নাকি হার্ট অ্যাটাক
MostPlay

প্যানিক অ্যাটাক ও হার্ট অ্যাটাক—দুটোই যে কারো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্যানিক অ্যাটাক ও হার্ট অ্যাটাক এই দুটোই হঠাৎ করেই যে কারো হতে পারে। এ কারণে নিজের ও অন্যের জীবন বাঁচাতে এই দুটো বিষয় সম্পর্কে সবারই সতর্ক ও সঠিক তথ্য জেনে রাখা জরুরি। কিন্তু কোনটা কি, সে সম্পর্কে না জানার কারণে সঠিক চিকিৎসা নেয়া হয় না আমাদের। এ জন্য প্যানিক ও হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত।

এতে যেমন নিজের জীবন রক্ষায় সুবিধা হবে, একইভাবে অন্যের জীবন বাঁচাতেও এগিয়ে আসতে পারবেন। প্যানিক ও হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে সাধারণ কিছু লক্ষণের মিল রয়েছে, যেমন ঘেমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট হওয়া ও বুকে ব্যথা। তবে এর বাইরেও কিছু লক্ষণ রয়েছে। আর সেসব লক্ষণগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে দুটোর পার্থক্য বুঝতে পারা যায়। এবার তাহলে ক্লিভ ল্যান্ড ক্লিনিক অর্গানাইজের প্রতিবেদন অনুযায়ী হার্ট অ্যাটাক ও প্যানিক অ্যাটাকের পার্থক্য জেনে নেয়া যাক।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ : হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে হার্টের অংশে পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্ত না পাওয়া বা রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যাওয়া। এটি সাধারণ হৃৎপিণ্ড রক্ত সরবরাহকারী একটি ধমনী ব্লক হয়ে গেলে হয়। হার্ট অ্যাটাকের সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে–

  • ১. বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব করা।
  • ২. ধুকপুকানি বা অতি দ্রুত স্পন্দন।
  • ৩. লঘু মস্তিষ্ক বা অজ্ঞান বোধ করা।
  • ৪. ঘাম হওয়া, কখনো কখনো ঠান্ডা ঘাম হওয়া।
  • ৫. শরীরের উপরের অংশে ব্যথা বা অস্বস্তি বোধ করা। যেমন চোয়াল, গাড়, বাহু, কাঁধ বা পিঠে ব্যথা বা অস্বস্থি হওয়া।
  • ৬. নিঃশ্বাস ছোট হয়ে যাওয়া।
  • ৭. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া। হার্ট অ্যাটাকে বুকে ব্যথা হলে তা তীব্র যন্ত্রণা হবে। বুকে চেপে ধরার মতো অনুভূতি হবে।

প্যানিক অ্যাটাকের লক্ষণগুলো : প্যানিক অ্যাটাক হচ্ছে অপ্রতিরোধ্য ভয় বা উদ্বেগের আকস্মিক আক্রমণ। প্যানিক অ্যাটাকের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ নয়, তবে তারা জীবনযাত্রার মান এবং মানসিক সুস্থতায় হস্তক্ষেপ করে থাকে।

তবে যাদের নিয়মিত বা ঘন ঘন প্যানিক অ্যাটাক হয় তাদের প্যানিক ডিসঅর্ডার, অর্থাৎ এক ধরনের উদ্বেগজনিত ব্যাধি হতে পারে। প্যানিক অ্যাটাক যে কারও হতে পারে। এমনকি প্যানিক ডিসঅর্ডার নির্ণয় ছাড়াই।

  • ১. তীব্র উদ্বেগ এবং ভয়ের আকস্মিক অনুভূতি
  • ২. বুক ব্যথা
  • ৩. শ্বাসকষ্ট
  • ৪. ঘাম হওয়া
  • ৫. দুর্বলতা বা মাথা ঘোরা
  • ৬. শরীর কাঁপা
  • ৭. পেটে ব্যথা বা বমি বমি ভাব প্রসঙ্গত, যেকোনো ব্যথা হলেই তা দীর্ঘস্থায়ী বা যন্ত্রণা তীব্র হলে কালক্ষেপণ না করে তাৎক্ষণিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া উচিত।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password