আওয়ামী রাজনীতির প্রতিহিংসা ও ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার দোহার উপজেলার মধুরচর এর জনগণ। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের পাতানো নির্বাচনে মধুরচর এর জনগণ ভোট দিতে যায়নি বিধায়, তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ও সুতারপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন জনগণের সম্মুখে বলেন যে, ‘মধুরচর কে তারা ডাস্টবিন বা ভাগাড়ে পরিণত করবে’। তাদের ব্যক্তিগত আক্রোশ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই প্রকল্পটি গৃহীত এবং স্থানটি নির্ধারিত হয়। সুতরাং ফ্যাসিস্ট সরকারের জনবিরোধী সিদ্ধান্ত কিছুতেই মধুরচরে বাস্তবায়ন হতে পারে না। আজ মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে দোহার প্রেসক্লাবে, মধুরচর একতা সংঘ ও মধুরচর এর এলাকাবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে স্মারকলিপি পাঠ করেন হায়দার হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, মধুরচর এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। যে জায়গাটি নির্বাচন করা হয়েছে তার ১০ গজের মধ্যে এবং চতুর্দিকে বসতি রয়েছে। পরিবেশ আইনে ১০ গজের মধ্যে বসতি থাকলে জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে কিছুতেই ময়লার স্তূপ হতে পারে না। এছাড়াও এই স্থানটির চারদিকে মানুষের যাতায়াত রয়েছে এবং গ্রামটি নদীর পার্শ্ববর্তী হওয়ায় দক্ষিণা বাতাস বহমান। ফলে সমগ্র গ্রামে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়বে, বায়ু দূষণ হবে, শিশুদের রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ বাড়বে, পরিবেশ ও প্রকৃতির ব্যাপক বিপর্যয় ঘটবে।

সংবাদ সম্মেলনে স্মারকলিপিতে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ বিষয়টিতে সাধারণ শ্রেণিকে প্রাধান্য দিয়ে এ কার্যক্রম বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করারও দাবি জানান।

এ সময় এলাকাবাসীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম, শিক্ষক নুর আলম, বিপ্লব হোসেন, ফয়সাল, মো. জাফর শিকদার, সমাজসেবক সালাউদ্দিন, ব্যবসায়ী মো. হাসান, মুতালেব, মো. হাসান, আউয়ালসহ আরো অনেকে।