ট্র‍্যাকে বসানো হয়েছে ৬ কোচ,চলছে ১৯ রকমের পরীক্ষা।

ট্র‍্যাকে বসানো হয়েছে ৬ কোচ,চলছে ১৯ রকমের পরীক্ষা।

 রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় পর্যায়ক্রমে সতর্কতার সঙ্গে মেট্রোরেলের ডিপোর রেলওয়ে ট্র্যাকে বসানো হয়েছে ছয়টি কোচ। এরপর মেকানিক্যাল-ইলেকট্রিক্যাল, ওয়াশিংসহ প্রতিটি কোচের ১৯ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই কোচগুলো লাইনে তোলা হবে। এ কাজে দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগতে পারে।এ কাজের জন্য ইতালি থেকে এক ধরনের যন্ত্র আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, ছয়টি কোচ ডিপোতে রেলওয়ে ট্র্যাকে বসিয়ে ১৯ ধরনের পরীক্ষা করা হবে।

এরপর কোচগুলো জোড়া দিয়েও পরীক্ষা করা হবে।সরেজমিন দেখা গেছে, শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় মেট্রোরেলের জেটি থেকে ক্রেন দিয়ে লিফটিং জিগের মাধ্যমে কোচগুলো লরিতে তোলার কাজ শুরু হয়।এভাবে তিনটি কোচ দিয়াবাড়ির ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে একই লরিতে করে বাকি তিনটি কোচ ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে জেটিতে অবস্থানরত ছয়টি কোচ নামিয়ে ডিপোতে নেওয়া হলো।  

প্রজেক্ট ম্যানেজার-সিপি-৮ (উপ-সচিব) এবি এম আরিফুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, পর্যায়ক্রমে সতর্কতার সঙ্গে আমরা ছয়টি মেট্রোরেল কোচ জেটি থেকে ডিপোতে নিয়ে এসেছি। আমাদের ডিপোর ভেতরে যে রেলওয়ে ট্র্যাক আছে, সেখানে কোচগুলো বসানো হয়েছে। প্রতিটা কোচে আলাদাভাবে ১৯ ধরনের পরীক্ষা করতে শুরু করেছি।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, সব মিলিয়ে ২৪ সেট ট্রেনের মোট ব্যয় হয়েছে দাম চার হাজার ২৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। ট্রেনগুলোতে ডিসি ১৫০০ ভোল্টেজ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকবে।

স্টেইনলেস স্টিল বডির ট্রেনগুলোতে থাকবে লম্বালম্বি সিট। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দু’টি করে হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা। শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি বগির দুই পাশে থাকবে চারটি করে দরজা। জাপানি স্ট্যান্ডার্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা-সম্বলিত প্রতিটি ট্রেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে এক হাজার ৭৩৮। ভাড়া পরিশোধের জন্য থাকবে স্মার্ট কার্ড টিকিটিং ব্যবস্থা।মেট্রোরেলে ২৪টি ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় আপ ও ডাউন রুটে ৬০ হাজার যাত্রী আনা নেওয়া করতে সক্ষম হবে। কারণ অধিকাংশ মানুষ বসে যাতায়াতের চেয়ে দাঁড়িয়ে ভ্রমণেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন বলে আশা করছে ডিএমটিসিএল।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password