তিন বছরে দেশে ঢুকেছে ১২ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য

তিন বছরে দেশে ঢুকেছে ১২ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য
MostPlay

গত তিন বছরে আনুমানিক ১২ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই ক্ষতিকর বর্জ্য পরিবেশ তথা জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। ক্ষতিকর প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে বাংলাদেশকে রক্ষায় ‘ব্যাসেল ব্যান অ্যামেন্ডমেন্ট’ অনুমোদন দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) ধানমন্ডির একটি হোটেলে আয়োজিত প্রেসব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন বক্তারা। এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন (এসডো) এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ‘ট্রান্সবাউন্ডারি মুভমেন্ট অফ হ্যাজারডাস প্লাস্টিক ওয়েস্ট : বাংলাদেশ সিচুয়েশন ২০২১’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর প্লাস্টিক বর্জ্য বাণিজ্যের মারাত্মক প্রভাব নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

সাবেক সচিব এবং এসডোর চেয়ারপারসন সৈয়দ মারগুব মোর্শেদ প্লাস্টিক বর্জ্য বাণিজ্য কীভাবে বঙ্গোপসাগরের বাস্তুসংস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে তা নিয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি শেষ পর্যন্ত তা কীভাবে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে তা নিয়েও আলোচনা করেন এবং এর গুরুত্ব অনুধাবনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন :সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ল’স (সিয়েল) জেনেভা অফিসের ম্যানেজিং অ্যার্টনি ডেভিড অ্যাজুলে, বাসেল অ্যাকশন নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক জিম পুকেট প্রমুখ।

ডেভিড অ্যাজুলে ব্যাসেল ব্যান অ্যামেন্ডমেন্টের বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইনসিনারেটর অলটারনেটিভসের সিরিন র্যাচেড বাংলাদেশে প্লাস্টিক বর্জ্য বাণিজ্যে আইনের ফাঁকফোকরগুলো তুলে ধরেন। জিম পুকেট বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ব্যাসেল অ্যামেন্ডমেন্ট অনুমোদনের মাধ্যমে এর বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াগুলো তুলে ধরেন।

এসডোর মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাসেল কনভেনশনের স্বাক্ষরকারী একটি দেশ হওয়া সত্ত্বেও ব্যাসেল ব্যান অ্যামেন্ডমেন্টে স্বাক্ষর করেনি। ক্ষতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ব্যাসেল অ্যামেন্ডমেন্ট গ্রহণ করার এখনই উপযুক্ত সময়।

এসডোর নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা বাংলাদেশে প্লাস্টিক বর্জ্যের আন্তঃসীমান্ত পরিবহন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি সরকারের কাছে ব্যাসেল ব্যান অ্যামেন্ডমেন্ট, ইউএনইএ রেজুলেশন এবং বাংলাদেশ আমদানি নীতি (২০১৫-২০১৮)-এর সমন্বয়ে একটি আইনি কাঠামো বাস্তবায়নের আবেদন জানান।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password