মেঘনায় সেজতারত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা

মেঘনায় সেজতারত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা
MostPlay

মেঘনার ভাওরখোলা গ্রামে এম এস খান নামের এক ব্যাক্তিকে জুম্মার নামাজে সেজদারত অবস্থায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এলপাতারি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর)  ভাওরখোলা দক্ষিন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, এম এস খান সেজদারত অবস্থায় ছিল পাশে তার ছেলেও ছিল ছেলেকে সিরাজুল ইসলামের ভাগিনা ভাতিজা ও জামাই সাদ্দামসহ আরও দশ বারো জন বাপ ছেলেকে ঘিরে ঘিরে ফেলে এম এস খান কে কোপাতে থাকে ছেলেকে কয়েকজন মিলে একসাথে নিচে ফেলে মারতে থাকে। পরে স্থানীয়রা গেলে তারা চলে যায়। 

আহত এম এস খান এর ছেলে মিনারুল বিডিটাইপকে জানায়, সিরাজুল ইসলাম তার ছেলে ভাতিজা ভাগিনারা গত শুক্রবার ও আমাদের ধাওয়া করেছিল। সেদিন আমাদের গ্রামের মহিলারা ছিল বলে আমি আর আমার বাবা প্রানে বেঁচে যাই। এই শুক্রবারও আমি আর আমার এক সাথে মসজিদে যাই নামাজেত সেজতারত অবস্থায় আমার বাবাকে কয়েকজন মিলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে আর কয়েকজন মিলে আমাকে মাঠিতে ফেলে রামদেবের উল্টোপিঠ দিয়ে মেরেছে। আমি তাদের হাত থেকে আমার বাবাকে রক্ষা করতে পারিনি।

মিনারুল আরও বলে, আমার বাবাকে যখন তারা মারছে তখন সিরাজুল ইসলাম বাহির থেকে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছিলো না এবং বাইরে দাঁড়িয়ে বলছিল শালাকে একদম জানে মেরে ফেল। আমি আর আমার বাবা ভাবতেও পারিনাই একজন মুসলমান হয়ে আল্লাহর ঘর মসজিদে আরেকজন মুসলমানকে সেজদারত অবস্থায় এমনভাবে মারবে। আমার বাবাকে সেজদারত অবস্থায় দেখেও ওই নরপিচাশ রা কুপিয়েছে। স্থানীয়রা উদ্ধার না করলে তারা আমার বাবাকে মেরেই ফেলতো।

তিনি আরও জানান, আমার বাবার অবস্থা খারাপ দেখে প্রথমে উপজেলা হাসপাতাল নেই সেখানে কিছুটা ট্রিটমেন্ট করে পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল ভর্তি করি।

উল্লেখ্য, সিরাজুল ইসলাম ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে ভাওরখোলা ইউনিয়ন থেকে  সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে জয় লাভ করেন। 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password