মওলানা ভাসানী কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা দিবস পালনের দাবীতে মুক্ত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশি বাধার নিন্দা

মওলানা ভাসানী কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা দিবস পালনের দাবীতে মুক্ত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশি বাধার নিন্দা
MostPlay

আজ ৩ ডিসেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সমানে মুক্ত সংবাদ সম্মেলন করার জন্য আমরা জড়ো হলে পুলিশের এএসপি ইত্তেখারুল ইসলাম ও ইন্সপেক্টর আবুল বাশারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও একদল সাদা পোশাকধারী সংবাদ সম্মেলন করতে বাধা দেয়। তাদের বাধার কারণ জানতে চাইলে তারা নিষেধাজ্ঞার দোহাই দেন। আমরা মাইক ছাড়া সংবাদ সম্মেলন করতে বাধা কেন জানতে চাইলে পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডার ছবি তোলার সময় একজন সংবাদকর্মী ও একজন ফটো সাংবাদিককেও পুলিশ কর্তব্য কাজে বাধা সৃষ্টি করে।

এখানে উল্লেখ্য যে, সমাজতান্ত্রিক কৃষকফ্রন্ট ও সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ফ্রন্টকে একই স্থানে মানববন্ধন ও মিছিল করতে কোন বাধা দেয়নি পুলিশ বাহিনী।

এক বিবৃতিতে নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদী আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “স্বাধীনতার ঘোষণার ঐতিহাসিক ৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির ও জাতীয়ভাবে উদযাপনের দাবীতে সরকারের গাত্রদাহ কেন তা বোধগম্য নয়। সরকার বর্তমানে যে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন চালাচ্ছে তা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। ইতিহাস বিকৃতি ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে স্বাধীনতার ঘোষণা সঠিকভাবে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করতে হবে। ৪ ডিসেম্বর স্বাধীনতার ঘোষণা দিবস জাতীয়ভাবে উদ্যাপন করতে হবে।”

তিনি বলেন, “দিল্লির অনুগ্রহপ্রাপ্ত বুদ্ধিজীবী ও মিডিয়ার কর্তাব্যক্তিরা ৪ ডিসেম্বর স্বাধীনতার ঘোষণা দিবস ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চায়। ঐদিন ১৯৭০ সালের ৪ ডিসেম্বর পল্টনের জনসভায় মওলানা ভাসানী দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে নির্মোহভাবে পশ্চিম পাকিস্তানকে সালাম জানিয়ে পূর্বপাকিস্তানের (বাংলাদেশ) স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং পশ্চিম পাকিস্তানীদের অধীনে যে কোন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। যা ক্ষমতার দরকষাকষি কিংবা কোন বিদেশী শক্তির সাথে গোপন আঁতাত ছিল না। মিথ্যা ইতিহাস ও অপসংস্কৃতি রোধ করে সত্যের মুখোমুখি দাঁড়ানোর সৎ সাহস নেই বলেই বর্তমান সরকার আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে।”

সংবাদ সম্মেলনের সংহতি জানাতে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমিন, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের ঢাকা মহানগর নেতা নুরুল ইসলাম বিপ্লব, প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ ফোরাম (বিবিএফ) আহ্বায়ক এন. ইউ. আহম্মেদ, প্রতিবাদী তারুণ্যের কেন্দ্রীয় নেতা মাকছুদ আলম, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক জোট’র চেয়ারম্যান মোঃ খায়রুল ইসলাম দেওয়ান প্রমুখ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password