যেসব কঠিন রোগ ছড়ায় কমোডের সিট থেকে

যেসব কঠিন রোগ ছড়ায় কমোডের সিট থেকে
MostPlay

আপনি খালি হাত দিয়ে কমোডের সিট তুলছেন বা নামাচ্ছেন? কিন্তু আপনি বুঝতেও পারছেন না শরীরের কী ভয়ানক ক্ষতি হচ্ছে এতে! কারণ, কমোডের সিটে জার্ম বা ভাইরাস সবসময় থেকে যায়। টয়লেটের কমোডের সিটগুলো জীবাণুর আশ্রয়স্থল। এতে থাকে মারাত্মক সব জীবাণু যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, স্ট্রেপ্টোকক্কাস, ইকোলি, হেপাটাইটিস, স্ট্যাফাইলোকক্কাস, সালমোনেলা, শিগেলা ও নরোভাইরাস।

বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য প্রতিবেদন অনুসারে, একটি কমোডের সিটের প্রতি বর্গ ইঞ্চি ৫০টিরও বেশি ব্যাকটেরিয়া বহন করে। তাই কমোড ব্যবহার থেকে শুরু করে তা পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে সবারই সতর্ক হতে হবে। না হলে কঠিন সব রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে।

তেমনই কিছু কঠিন রোগ সম্পর্কে জেনে নিন-

মূত্রনালীর সংক্রমণ: অপরিষ্কার কমোডের সিট থেকে শরীরে জীবাণু সহজেই প্রবেশ করতে পারে। এক্ষেত্রে ওই জীবাণু মূত্রাশয়, মূত্রনালী ও কখনো কখনো কিডনিকেও সংক্রমিত করে।

ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস: এটি একটি সংক্রমণ যেখানে যোনিতে অত্যধিক ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যায়। ফলে যোনি থেকে সাদা দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব বের হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে যোনিপথে অত্যধিক চুলকানি ও জ্বালাপোড়া অনুভূতি হতে পারে।

প্রোস্টাটাইটিস: এই রোগের কারণে পুরুষদের প্রোস্টেট ফুলে যায়। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে এটি ঘটে। এই সংক্রমণ যৌনাঙ্গে ও কুঁচকির অঞ্চলে ব্যথার সৃষ্টি করে। এর সঙ্গে ফ্লুর মতো উপসর্গগুলোও থাকতে পারে।

এসটিডি: অপরিষ্কার কমোডের সিট থেকে যৌন সংক্রমণ বাড়তে পারে। শুধু পাবলিক টয়লেটের কমোড নয়, ব্যক্তিগত টয়লেটের কমোড; যেটি পরিষ্কার নয় সেখান থেকেই এসটিডি ছড়াতে পারে। এসটিডিরি জীবাণু ত্বকের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

ক্যানডিডিয়াসিস: যোনিতে ইস্ট ইনফেকশনের কারণে নারীদের মধ্যে ক্যান্ডিডিয়াসিস হতে পারে। আপনি যদি অপরিষ্কার টয়লেট বা কমোড ব্যবহার করেন তাহলে এই সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।

এছাড়া নারীদের ক্ষেত্রে মলত্যাগের পর পানি বা টিস্যু ব্যবহারের ক্ষেত্রে পেছন থেকে সামনের দিকে মোছা এড়িয়ে চলুন। কারণ মলদ্বারের অংশে ইস্টের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই সঠিকভাবে না মুছলে রোগজীবাণু ছড়াতে পারে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password