যে ৫ খাবার ব্রেস্টফিডিং করানোর সময় ভুলেও খাবেন না

যে ৫ খাবার ব্রেস্টফিডিং করানোর সময় ভুলেও খাবেন না

আপনি কি ব্রেস্টফিডিং করাচ্ছেন? তাহলে কয়েকটি খাবারের থেকে অবশ্যই দূরত্ব রাখা জরুরি। কারণ, এসব খাবার খেলে তা আপনার শরীরের ক্ষতি তো করবেই, সেই সঙ্গে সন্তানও পড়তে পারে সমস্যায়। তাই বিপদ বাড়ার আগেই আপনাকে ব্রেস্টফিডিং-এর সময় এই ৫ খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

মাতৃত্ব এক বিশেষ অনুভূতি। এই সময় মায়েরা নিজের জীবনের কিছু সেরা মুহূর্ত কাটান। তবে মুশকিল হলো, আনন্দে বিভোর হয়ে অনেক মা এমন কিছু খাবার খেয়ে ফেলেন যাতে তার এবং সন্তানের শরীরের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে যাওয়ার আগেই সাবধান হন।

জেনে নিন কোন কোন খাবার খেলে বিপদ বাড়তে পারে, তারপর এসব খাবারের থেকে বাড়িয়ে নিন দূরত্ব। তাহলেই সুস্থ থাকবেন আপনি। সুস্থ থাকবে গর্ভের সন্তান।

পারদ সমৃদ্ধ মাছ খাবেন না: মাছ হলো পুষ্টির ভাণ্ডার। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। সেই সঙ্গে এতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাণ্ডার। তাই ডেলিভারির পর নিশ্চিতভাবে মাছ খেতে হবে। তাতেই সুস্থ থাকবে শরীর। তবে ভুলেও এই সময় পারদ সমৃদ্ধ টুনা, মার্লিন, শর্ডফিশের মতো মাছ খাবেন না। এই ভুলটা করলে উপকার তো মিলবেই না, উল্টে বাচ্চার শরীরে পারদ পৌঁছে যাবে। আর এমনটা ঘটলে বাচ্চার বিকাশ এবং বৃদ্ধি আটকে যেতে পারে। তাই সাবধান হন।

মদ্যপান এড়িয়ে চলুন: মদ যে শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর, এই কথাটা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। কিন্তু তারপরও অনেক মহিলা ব্রেস্টফিডিং করানোর সময়ও এই পানীয়ে চুমুক দেন। আর এই ভুলটা একদমই করা যাবে না। কারণ মাতৃদুগ্ধের মাধ্যমে মদের কিছুটা অংশ বাচ্চার শরীরেও ঢুকে যেতে পারে। তারপর শুরু হতে পারে সমস্যা। তাই ভুলেও ব্রেস্টফিডিং করানোর সময় মদ্যপান করবেন না।

কফি: আপনি যদি কফি খেতে খুব ভালোবাসেন, তাহলে যে আপনাকে সাবধান হতে হবে। কারণ, কফিতে রয়েছে ক্যাফিন। আর এই উপাদান দুধের মাধ্যমে বাচ্চার শরীরে পৌঁছে গেলেই মুশকিল। সেক্ষেত্রে তার রাতের ঘুম উড়ে যেতে পারে। এমনকী তার পেটের সমস্যাও হতে পারে। তাই চেষ্টা করুন এই সময় কফি না খাওয়ার। তার বদলে প্রচুর পরিমাণে পানিপান করুন। এই কাজটা করলেই কিন্তু মিলবে উপকার।

প্রসেসড ফুডের থেকে বাড়ান দূরত্ব: ব্রেস্টফিডিং করানোর সময় যতটা সম্ভব প্রসেসড ফুডের থেকে বাড়িয়ে নিতে হবে দূরত্ব। কারণ, এই ধরনের খাবারের ক্যালোরি ভ্যালু খুবই বেশি। এমনকী এতে প্রচুর রাসায়নিক, ফ্যাট মেশানো রয়েছে। তাই এই সময় যতটা সম্ভব প্রসেসড ফুডের থেকে বাড়িয়ে নিন দূরত্ব। আশা করছি, এই কাজটা করলেই উপকার মিলবে। আপনার পাশাপাশি সুস্থ থাকবে গর্ভের সন্তান।

যা খেতে পারেন: এই সময় পাতে থাকুক প্রচুর পরিমাণে শাক, সবজি এবং ফল। সেই সঙ্গে রোজ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এমনকী দিনে অন্ততপক্ষে ৩ লিটার পানিপান করাও জরুরি। এর পাশাপাশি প্রতিদিন ৭ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। এই সামান্য কাজটা করলেই ব্রেস্টমিল্ক বেশি পরিমাণে তৈরি হবে। সন্তান এবং আপনি থাকবেন সুস্থ-সবল।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password