শেষ রক্ষা হলো না কমিউনিটি পুলিশের কার্যালয়ে ঢুকেও
যশোরে একটি গলির ভিতরে দুর্বৃত্তরা শাওনকে ছুরিকাঘাত করতে থাকে। জীবন বাঁচাতে যেয়ে তিনি দৌড়ে কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন শাওন। কিন্তু তাতেও তার শেষ রক্ষা হয়নি শাওনের। সেখানেও গিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করতে থাকে দুর্বৃত্তরা এবং তার মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে যশোরের শংকরপুর গ্রামের ছোটনের মোড় এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত শাওন শহরের শংকরপুর জমাদ্দারপাড়া এলাকার হালিম ওরফে তিলে মুন্সির ছেলে ছিলেন। স্থানীয় লোকজন এবং হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আনুমানিক রাত ১০টার দিকে শঙ্করপুর গ্রমের ছোটনের মোড় এলাকায় একটি গলির ভিতরে চার-পাঁচ জন দুর্বৃত্ত শাওনকে ছুরিকাঘাত করতে থাকে।
এবং জীবন বাঁচাতে শাওন দৌড়ে মোড়ে অবস্থিত কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। কিন্তু সেখানে গিয়েও দুর্বৃত্তরা তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। নিহত শাওনের বোন নিলা জানান, আমার ভাই শাওন শংকরপুর টার্মিনাল এলাকায় গাড়ি সার্ভিসিং-এর কাজ করতো। এই দিন সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বের হয় সে।
কিন্তু রাত ১০টার দিকে শুনি দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরি মেরে জখম করেছে। আমরা তাকে হসপিটালে নিয়ে গেলে ডাক্তার শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন। যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোঃ সালাউদ্দিন স্বপন বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে জখম শাওন নামে একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে চলে যায়। কারা, কী কারণে তাকে হত্যা করেছে- পুলিশ তা উদ্ঘাটনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। হত্যাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা শুরু করেছে বলে জানানো হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন