ঈদ কাটছে যানযটে বসে, সন্তানদের জামা-কাপড় হাতে নিয়ে কাঁদছে এক বাবা

ঈদ কাটছে যানযটে বসে, সন্তানদের জামা-কাপড় হাতে নিয়ে কাঁদছে এক বাবা
MostPlay

কথা ছিল যেতে যতই কষ্ট হোওক ঈদের দিনে যখন প্রিয় জনের মুখ দেখা হবে এবং প্রিয়জনদের সাথে করা হবে ঈদ উদযাপন তখন সব কষ্ট ভুলে যাওয়া যাবে। কিন্তু নিয়তি কি আর তা শোনলো? উত্তরবঙ্গগামী ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে দীর্ঘ কয়েকদিন ধরেই যানযট। এই যানযটে বাড়ি যাওয়া হলনা অনেক মানুষের।

যে সময়টা পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ করার কথা সে সময়টা কাটছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে। সড়কের কালিহাতী উপজেলার আনালিয়া বাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এখনো তীব্র যানজট রয়েছে।এই কারণে পৌঁছা হলনা বাড়ি করা হলোনা প্রিয় জনদের সাথে ঈদ।

এদিকে যানযটে থাকা লোকজনগুলো প্রিয়জনদের সাথে মাংস, সেমাই খাওয়ার কথা থাকলেও এ সময় আশপাশে দোকান না পেয়ে ঘুরে ঘুরে চিপস বিক্রি করা লোকজনের কাছ থেকে শুকনো চিপস আর পানি খেয়েই পার করেছেন ঈদের সকালের নাস্তা।1 বুধবার (২১ জুলাই) সকালে মহাসড়কে এই চিত্র দেখা যায়।

জানা গেছে. গেলো কয়েকদিন ধরেই ঘরমুখো মানুষ ও অতিরিক্ত যানবাহনের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ ধারাবাহিকতা এখনো রয়ে গেছে। যানজটের কারণে চালক ও যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ভোগান্তি অনেক চরমে উঠেছে। নারীদের পয়ঃনিষ্কাশন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শত শত মানুষের ঈদ কাটছে রাস্তায় যানবাহনের মধ্যে।

এক যাত্রী জানান, পরিবার নিয়ে মঙ্গলবার (২০ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে আশুলিয়া থেকে রংপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছি। এখনো বঙ্গবন্ধু সেতু পার হতে পারিনি। তাই শিশু সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চিপস আর পানি খেয়ে ঈদের সকাল কাটালাম। কখন বাড়ি ফিরতে পারবো তাও বলতে পারছি না।

বদুরুদ্দিন নামে এক যাত্রী বলে, ঢাকায় আমরা কামলা দেই, ঈদ হলেই আমরা বাড়ি যাই। সন্তানরা বসে আছে কখন তাদের জামা-কাপড় নিয়া যাব আর তা পরিধান করে তারা ঈদ করবে? নিজেও ঈদ করতে পারলাম না সন্তানদেরও ঈদ করতে দিতে পারলাম না। একবার ফোন দিয়ে আমার মেয়ে বলে বাবা আমার জামা আনবা না আমি ঈদে যাবনা আমি শুধু কান্নাই করেছি কোন উত্তর দেই নাই।

নিজাম উদ্দিন নামে আরেক যাত্রী জানান, আমাদের ভোগান্তির শেষ কোথায়? ৩ ঘণ্টার রাস্তা ১৮ ঘণ্টায় গোহালিয়া বাড়ি এসেছি। রাতেও খাইনি। বিস্কুট আর পানি খেয়ে ঈদের সকাল পার করলাম। বাড়ি ফেরা নিয়া অনিশ্চয়তায় রয়েছি। এদিকে মা বাবাও আসায় রয়েছে কখন বাড়ি ফিরবো? কখন তাদের সাথে খাবো?

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password