চাঁদে পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন কার না থাকে। সাধারণ মানুষও চাঁদে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন।
কিন্তু কখনো সুযোগ হয়ে ওঠে না।
আধুনিক প্রযুক্তির
বদৌলতে বহু আগেই চাঁদে পাড়ি দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা চাঁদের
যাওয়ার পথ প্রশস্ত করেছেন। এমনকি এখন চাঁদের জমির কেনাবেচাও হচ্ছে।কি? বিশ্বাস হচ্ছে
না?এটা এখন সত্যি! চাঁদের জমি বিক্রির এই দায়িত্ব নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী হোপ। লুনার অ্যাম্বাসি
নামের একটি কোম্পানি খুলে চাঁদের জমি বিক্রি করছেন হোপ।
জিনিউজ জানায়, প্রায় ৪০ বছর ধরে চাঁদের জমি বিক্রি করছেন হোপ। প্রায় ৬০ লাখ গ্রাহকের
কাছে ৬১ কোটির বেশি একর জমি বিক্রিও করেছেন। তার প্রতি একর জমির দাম পড়ছে দুই থেকে
আড়াই হাজার টাকার মধ্যেই। আইনত বৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে এই জমি। জমির মালিকানা বৈধভাবে
বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দলিলসহ মৌজা-পর্চার মতো আইনি নথিও রয়েছে বিক্রি হওয়া চাঁদের জমিগুলোর।
চোখে না দেখেই জমি কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। দেওয়া হচ্ছে দলিলও। এর সঙ্গে ক্রেতাদের
একটি করে চাঁদের মানচিত্রও দেওয়া হয় প্রমাণস্বরূপ। সেখানেই গ্রাহকরা বুঝতে পারছেন ঠিক
কোন জায়গায় তারা জমি কিনছেন।
ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টরাসহ জনপ্রিয় তারকারা, সাধারণ চাকরিজীবীরাও
চাঁদে জমি কিনে রেখেছেন এই প্রতিষ্ঠান থেকে।
হোপ জানান, ৬৭৫ জন নামি তারকা চাঁদে জমি কিনেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট
জর্জ বুশ, জিমি কার্টার ও রোনাল্ড রিগ্যানও তার কাছ থেকে চাঁদের জমি বরাদ্দ নিয়েছেন।সাধারণ
মানুষদের স্বপ্ন পূরণে জমির দাম নাগালেই রাখা হয় রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন হোপ। তিনি
জানান, চাঁদের প্রতি একর জমি ২৪ দশমিক ৯৯ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে।
১৯৬৭ সালে জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী, সৌরজগতের মধ্যে থাকা মহাজাগতিক বস্তু বিশ্বের
কোনো দেশ বা সরকার দাবি করতে পারবে না, মালিকানা বা আইনি স্বত্বও নয়। তবে তাতে কোনো
ব্যক্তির ক্ষেত্রে ওই বিধিনিষেধ নেই।
ওই প্রস্তাবনার সুযোগ নিয়েই আশি দশকের দিকে চাঁদের মালিকানা দাবি করে জাতিসংঘে
চিঠি পাঠান হোপ। চিঠির কোনো উত্তর না পেলেও জাতিসংঘের মৌনতায় সম্মতি ধরে নিয়েছেন তিনি।
এরপরই ১৯৮০ সাল থেকে শুরু হয় চাঁদের জমি নিয়ে এই ব্যবসা। আগ্রহীরাও সমানতালে কিনছেন
চাঁদের জমি। এখন পর্যন্ত হোপের এই ব্যবসায় আয় করেছেন মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন