কেন এই সন্ত্রাসী হামলা, এর ঈন্ধনদাতা কে?

কেন এই সন্ত্রাসী হামলা, এর ঈন্ধনদাতা কে?

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার যশোর ইউনিয়নের কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী হারুন মিয়ার ওপর সন্ত্রাসী হামলার বিচার এবং জামিনপ্রাপ্ত সন্ত্রাসীগণ কর্তৃক প্রাণ নাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে যশোর ইউনিয়ন কৃষকলীগ ও হারুন মিয়ার পরিবার। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় শিবপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হামলার শিকার কৃষকলীগ নেতা হারুণ মিয়ার স্ত্রী রুনা বেগম। তিনি বলেন, গত ২৪ জুলাই (শনিবার) রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় আরাফাত ভূইয়া ৯/১০ জন সহযোগী সন্ত্রাসীদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে কামারটেক বাজারে আমার স্বামী যশোর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অতর্কিতহামলা চালায়। তারা চাপাতি, রামদা দিয়ে আমার স্বামীকে এলোপাতারি কুপিয়ে হাতে পায়ের রগ কেটে দেয় এবং মাথায় আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করে। আমার স্বামী তাদের আঘাতে মারাত্মক জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা তার মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে জেনে দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে তিন লক্ষাধিক টাকাসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার সম্পদ লুট করে নিয়ে যায়। আমার স্বামীর উপর কেন এ সন্ত্রাসী হামলা, আর কে এর ঈন্ধনদাতা?

তিনি আরো বলেন, আমার স্বামীর শরীরে ৫২টি সেলাই এবং তার পায়ে এসএস রিং পড়িয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ১৬দিন চিকিৎসা শেষে আমার স্বামীর জ্ঞান ফিরলে এবং খানিকটা সুস্থ হলে তাকে হাসপাতাল কর্তৃকপক্ষ রিলিজ দেন। কিন্তু এই ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় আমার স্বামী চিরতরে পঙ্গু হয়ে যান। আমার স্বামী পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার এই পঙ্গু অবস্থায়- লুট হওয়া দোকানে ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ হওয়ায় এবং তার চিকিৎসা ব্যয় বহন করে বর্তমানে আমরা একেবারে নিঃশেষ হয়ে গেছি। আমি আমার ২ সন্তান ও বৃদ্ধ শ্বশুর শ্বাশুড়ি নিয়ে এক মানবেতর জীবন অতিবাহিত করছি। এখন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দুঃস্বপ্নে আমার প্রতিটি মুহূর্ত।

হারুণ মিয়ার স্ত্রী বলেন, এই ঘটনায় গত ২৫ জুলাই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শিবপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়, মামলা নং ৭/২০২১। মামলার প্রেক্ষিতে আট সন্ত্রাসী গ্রেফতার হলেও মূল আসামী আরাফাতসহ অন্যান্য আসামীরা নিরাপদে গা ঢাকা দেয়। ফলে তারা আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ২০ জুলাই গ্রেফতার হওয়া আমাসীদের জামিনে মুক্তি লাভে সহায়তা করে। আমার এই দুরাবস্থার মধ্যে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা জামিনে মুক্তি পেয়ে এবং আমার স্বামীর বেঁচে থাকার খবরে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সেদিন তাকে হত্যা করতে ব্যর্থ হয়ে তারা আবারও প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলেছে। ফলে আমি সার্বক্ষণিকভাবে আতংক ও উৎকন্ঠার মধ্যে দিন যাপন করছি এবং আমার পরিবারের ওপর আবারও সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশ কৃষকলীগের সভাপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃকপক্ষের কাছে এসকল সন্ত্রাসীদের হাত থেকে আমার পরিবারের নিরাপত্তা ও ন্যয় বিচার এবং আমার এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতের অনুরোধ করছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদী জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখার উদ্দিন খান নিপুন, শিবপুর উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী মিন্টু মৃধা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলতাফ হোসেন, যোশর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি শহীদুল্লাহ মাস্টার, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেক মোল্লা প্রমুখ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password