রোজায় অ্যাসিডিটি তথা গ্যাস্ট্রিকের কারণে পেট জ্বালাপোড়া ও পেটের মাঝখানে ব্যথা অনুভব করার মতো সাধারণ সমস্যা হতে পারে। এছাড়া পেট ফাঁপা, কোষ্টকাঠিন্য ও টয়লেট পাতলা হওয়ার সমস্যায়ও ভুগতে পারেন কেউ কেউ। এ ব্যাপারে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালের পরিচালক পরিপাকতন্ত্র ও লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ রোজদারদের কিছু নিময় মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, রোজায় শেষ বেলায় তথা বিকালে বমি বমি ভাব হতে পারে। এটা হয়ে থাকে পেটের ভেতরে সারদিন না খাওয়ার কারণে যে এসিডিটি হয় তার কারণে। অধ্যাপক ফারুক আহমেদ বলেন, এ জন্য ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবর খেতে হবে। তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য ওমিপ্রাজল জাতীয় কিছু ওষুধ খেয়ে নিলে সমাধাান হতে পারে।
তিনি বলেন, ইফতারে কোনোভাবেই বেশি খাবার খাওয়া যাবে না। নিয়মিত যে খাবারগুলোর সঙ্গে আমরা অভ্যস্ত সেই খাবারগুলোই খেতে হবে। এর বাইরে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো।
বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক বলেন, বাসায় বানানো শরবত খাওয়া যেতে পারে। সঙ্গে ফল বা ফলের সালাদ খাওয়া যেতে পারে। অবশ্যই পানি বেশি পরিমাণে খেতে হবে। সিদ্ধ ছোলা বা মুড়ি খাওয়া যেতে পরে। তবে যে খাবারগুলোর সঙ্গে অভ্যস্ত না তেমন খাবারগুলো না খাওয়াই ভালো।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত খাদ্য হজম হতে গিয়ে অনেক সময় লাগবে এবং অনেক সময় সব খাদ্য হজম না হয়ে সারাদিন এক ধরনের অস্বস্তির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এতে সারাদিন বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে। ঢেকুরের সঙ্গে খাবার চলে আসেতে পারে। এছাড়া আগের কোনো উপসর্গহীন রোগ থাকেলে সেগুলোর উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
অধ্যাপক ফারুক আহমেদ বলেন, অতিরিক্ত খাবার খেলে সেটা শরীরে মেদ হিসেবে জমা হবে এবং ওজন বাড়বে। ওজন বাড়ালে শরীরের সবগুলো অঙ্গই কার্যক্ষমতা হারাতে পারে। তিনি আরও বলেন, বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে তেল জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। একবারে পেট পুরে না খেয়ে প্রয়োজনে অল্প করে কয়েকবার খাওয়া যেতে পারে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন