রোজার মাসে ডায়াবেটিস রোগীদের নিজেদের ব্যাপারে বিশেষ যত্নবান হতে হবে। কারণ যখন তখন ডায়াবেটিস বহন করা মানুষদের সুগার লেভেল কমে যেতে পারে। ফলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের সুগার লেভেল কমা বা বৃদ্ধির অনেক লক্ষণ রয়েছে।
ডায়াবেটিস রোগীদের সুগার লেভেল কমে গেলে অতিরিক্ত ঘাম, ঠান্ডা লাগা, খিদে পাওয়া, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া এবং মাথা ঘোরা সমস্যার দেখা দিতে পারে। আবার সুগার লেভেল বেড়ে গেলে রোগীর ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায় ও ঘন ঘন প্রস্রাব পেতে থাকে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, সুগার রোগীদের রোজার মাসে প্রোটিন এবং ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।
ডায়াবেটিস রোগীরা ইফতারে যেমন খাবার খাবেন:-
১) সবার জন্যই সঠিক এবং স্বাস্থ্যকর খাবার নির্বাচন করা জরুরি। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে বিকল্প বেছে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভুল এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার রক্তের গ্লুকোজের মাত্রার ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। তাই খাবার নির্বাচনে সতর্ক হোন।
২) ইফতারের সময় স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন, অল্প করে গ্রহণ করুন।
৩) ইফতারে শরবত দেখে যতই তেষ্টা লাগুক না কেন, একদমই ছোঁবেন না যেন চিনি সমৃদ্ধ ও ডিপ ফ্রাই করা খাবার গ্রহণ করবেন না।
৪) অনেক বেশি ও ভারী খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এগুলো পেটফাঁপা ও এসিডিটির সমস্যা তৈরি করতে পারে। হালকা খাবার অল্প করে খান।
৫) রোজা ভাঙার পর স্বাস্থ্যকর তরল গ্রহণ করুন। পানি সবচেয়ে ভালো পানীয়। এছাড়াও লেবু পানি, ঘোল, মিষ্টি ছাড়া লাচ্ছি পান করতে পারেন। শরবত, ফলের জুস, প্যাকেটজাত মিষ্টি পানীয় গ্রহণ এড়িয়ে চলুন। সুস্থ থাকবেন।
৬) ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় যেমন-কফি, সোডা বা ফ্রিজি ড্রিংক পান করবেন না। কারণ, এই পানীয়গুলো ডিহাইড্রেশন সৃষ্টি করতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগীরা সেহরিতে যেমন খাবার খাবেন:-
১) সেহরিতে অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
২) কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের এবং উচ্চমাত্রার ফাইবারযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। এধরনের খাবার দীর্ঘক্ষণ পাকস্থলীতে থাকে এবং ক্ষুধা কম লাগে। কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবারগুলো হচ্ছে - বাদামী চাল, গম, ওটস বা বার্লি।
৩) লিগিউম জাতীয় খাবার যেমন মটরশুঁটি খেতে পারেন, লো ফ্যাটের দুধ ও পনির খেতে পারেন। এছাড়া একটি আস্ত ফল খান। আপনার ডায়েটে ডাল ও সবজি যোগ করুন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন