প্রায় চারবছর ধরে একটি ঘরের অপেক্ষা

প্রায় চারবছর ধরে একটি ঘরের অপেক্ষা
MostPlay

প্রতিবন্ধী মো.বাবু আলী (৩৮) চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের পাঁকা ইউনিয়নের বোগলা উড়ি গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে। প্রায় চারবছর ধরে একটি সরকারি ঘরের জন্য বিভিন্ন দফতরে ঘুরছেন তিনি। কিন্তু পাচ্ছেন না কোনো সহায়তা।

জানা যায়, চার বছর বয়সে সারা শরীরে ফোড়া হয়েছিল। এরপর কয়েকটি অপারেশন করতে হয় তাকে। অপারেশনের পর থেকেই অচল হয়ে পড়ে দুই পাসহ শরীরের বেশ কিছু অঙ্গ।প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে লেখাপড়া করতে পারেননি তিনি। প্রায় ১৪ বছর আগে পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিয়ে দেয়া হয়।বাবু জানান, বর্তমানে তার রিমা খাতুন নামের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। সে পড়ালেখা করছে বোগলাউড়ি এলাকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে।

তিনি আরও জানান, চার বছর আগে একটি প্রতিবন্ধী কার্ড দেয়া হয় তাকে। সে কার্ডে প্রতিমাসে ৭০০ টাকা করে ভাতা পান। কিন্তু এ টাকা দিয়ে কিছুই হয় না। নিজের ওষুধ কিনতেই খরচ হয়ে যায় প্রায় দুই হাজার টাকা। অন্যের কাছে হাত পাততে চান না তিনি। তাই বাড়ির পাশের একটি বাজারে ডিম বিক্রি করেন তিনি।

তবে এ দিয়ে সংসার চালানোর মতো আয় হয় না। ফলে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।তিনি বলেন, আমার তিন শতক জমি আছে কিন্তু বাড়ি নেই। বাড়ি পাবার আশায় বারবার যোগাযোগ করি ইউপি মেম্বার, চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে। তারা ঘর দিবে বলে টাকা চায়। টাকা দিতে পারিনি তাই ঘরও পাইনি।তিনি আক্ষেপ করে বলেন, টাকা যদি দিতেই পারি তাহলে নিজেই ঘর বানাতাম।

ঘরের আশায় তিনি অতি কষ্টে ছুটে আসেন শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে। তিনি জানান, সকাল ১০টায় হামাগুড়ি দিয়ে চারতলা উঠেছেন। ইউএনও এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রায় চার মাস ধরে ঘুরছেন। কিন্তু দেখা করার সুযোগ দেয়াহ হচ্ছে না তাকে।

শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ঘর বরাদ্দ দেয়ার সময় হয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে তালিকা চাওয়া হয়। তালিকায় তার নাম আসেনি।তবে আগামীতে আবার ঘর বরাদ্দ দেয়া হলে বাবুকে অগ্রাধীকার দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password