নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি হত্যাচেষ্টার মূল পরিকল্পনাকারী হেফাজতে ইসলামের নেতা খালেদ সাইফুল্লাহ সাইফ, হেফাজতে ইসলামের কর্মী কাজি সমির, অহিদকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। শুক্রবার তাদের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মামুনুল হক কান্ডের পর সোনারগাঁ থানায় বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সোহাগ রনির বাবা হাজী শাহ জামাল তোতা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা নং-১২এর আগে সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে এক নারীসহ অবরুদ্ধ করার ঘটনায় হেফাজত কর্মীদের সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ দুই নেতার বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রয়্যাল রিসোর্টে ভাংচুর মামলায় এজহারভুক্ত ১২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পিরোজপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর দারুন নাজাত হাফেজিয়া মাদ্রাসায় গোপন বৈঠক থেকে ৭ আসামী ও এর আগে অপর ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা ও রয়্যাল রিসোর্ট ভাঙচুরের ঘটনায় সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াউর রহমান বাদী হয়ে ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় মামুনুল হককে। এ ছাড়া এ মামলায় সোনারগাঁ পৌরসভা জাতীয় পার্টির সভাপতি এম এ জামান, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মহিউদ্দিন খান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের খতিব ইকবাল হোসেনসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।

সোনারগাঁ থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করে নাম ঠিকানা অন্তভূক্ত করা হচ্ছে এ ঘটনায় এজহারভুক্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে।