নওগাঁ মান্দায় কোন ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না চুরি-ছিনতাই ও ডাকাতি

নওগাঁ মান্দায় কোন ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না চুরি-ছিনতাই ও ডাকাতি
MostPlay

নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায় আবারো বেড়েছে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি। কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মতো ঘটনা। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। অহরহ ঘটছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। এমনকি দিন-দুপুরে থানাসংলগ্ন চুরির ঘটনাও ঘটছে। স্থানীয়রা চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনায় আতঙ্ক নিয়ে দিন পার করছেন।

গত ৩ সেপ্টেম্বর দিন-দুপুরে একজন ভ্যানচালককে মারপিট করে মুমূর্ষু অবস্থায় রেখে ভ্যান ছিনিয়ে নিয়ে যায় চোরেরা। তার একদিন পর ভ্যানচালককে অজ্ঞান অবস্থায় উপজেলা সদরে সিসিডিবির পাশে আতিক ব্রিকস থেকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। আহত ভ্যানচালক উপজেলার কালিকাপুর ইউপির কালিকাপুর গ্রামের অছিমুদ্দিনের ছেলে শাহাজামাল। একই তারিখে রাতের বেলায় উপজেলার নুরুল্লাবাদ ইউপির পারনুরুল্লাবাদ গ্রামের জাকির হোসেনের বাড়িতে গরু চুরির ঘটনা ঘটে। ৩ আগস্ট রাতে উপজেলার মঞ্জিলতলা বাজারের মেসার্স রিফা ট্রেডার্সে চুরি সংঘটিত হয়।

১২ আগস্ট উপজেলার ভালাইন ইউপির আয়াঁপুর বাজারে দুই নৈশপ্রহরীর হাত-পা বেঁধে মাহি টেলিকম ও হাজী ক্রপ কেয়ারে ডাকাতি করে প্রায় ৬ লাখ টাকা নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। এছাড়া ১৮ আগস্ট উপজেলা সদরের ইনডেক্স টেকনিক্যাল বিএম অ্যান্ড জেনারেল কলেজে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। গত ৪ সেপ্টেম্বর থানাসংলগ্ন দোসতি গ্রামের দেলবরের বাড়িতে বেলা ১১টার সময় তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা টের পেয়ে চোরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এছাড়াও উপজেলা সদরের প্রসাদপুর বাজারে জনতা ব্যাংকের সামনে দুপুরবেলা মোতাহার হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায় ছিনতাইকারীরা।

গত ৩ সেপ্টেম্বর থানা থেকে ৫০০ গজ দূরে শ্যামল ভ্যারাইটিজ স্টোরে নৈশপ্রহরীকে বেঁধে মালামালসহ তিন লাখ টাকা নিয়ে চলে যায় ডাকাত দল। এভাবে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটছে উপজেলা প্রত্যন্ত গ্রাম ও হাট-বাজারে। এরকম ঘটনায় ব্যাহত হচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রার মান। অনেক পরিবার সহায়-সম্বল হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। ঘটনার পর থানায় জানিয়েও অনেকে ফিরে পায়নি তাদের মালামাল ও টাকা-পয়সা।

উদ্ধারেও নেই তেমন কোনো অগ্রগতি। অনেক ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনার পর থানায় জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। কিছুদিন দৌড়ঝাঁপ করে আর থানায় যাইনি। প্রসাদপুর ইউপির মঞ্জিলতলা বাজারের কীটনাশক দোকানদার আশরাফুল ইসলাম জানান, এখনো চুরি যাওয়া মালামাল কিছুই উদ্ধার হয়নি। পুলিশের ভূমিকা নীরব। উপজেলা সদরের ইনডেক্স টেকনিক্যাল বিএম অ্যান্ড জেনারেল কলেজের অধ্যক্ষ মোজাফফর হোসেন বলেন, চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেও ঘটনাস্থলে পুলিশ আসেনি।

পুলিশ প্রশাসনের এমন আচরণে আমি বিব্রত এবং মর্মাহত। মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, চুরি-ছিনতাই ও ডাকাতির বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে উপস্থাপন করে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password