ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বিয়ের আশ্বাস দিয়ে টানা ৩ বছর ধর্ষণ করেছে ইউপি চেয়ারম্যান

ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বিয়ের আশ্বাস দিয়ে টানা ৩ বছর ধর্ষণ করেছে ইউপি চেয়ারম্যান

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক গৃহবধূ। 

মঙ্গলবার বিকেলে শহরের একটি হোটেলে ওই গৃহবধূ সংবাদ সম্মেলনে তার প্রতি নির্যাতন, নিপীড়ন, হুমকি ধামকি ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।ওই গৃহবধূ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা পিটিশন মামলা সিআইডির কাছে হস্তান্তরও দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে ওই গৃহবধূ বলেন, ঘোপাল ইউপির মুহুরীগঞ্জে আমার স্বামীর বাড়ি। দাম্পত্য জীবনে অশান্তি ও স্বামীর বেপরোয়া জীবনের প্রতিকার চেয়ে ঘোপাল ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিকের শরণাপন্ন হই। এটাই আমার জীবনের কাল হয়েছে। তিনি আমাকে বিয়ের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে টানা ৩ বছর ধর্ষণ করেছে। বিয়ে না করে চলচাতুরির মাধ্যমে আমার সর্বস্ব লুটে নিয়ে আমাকে মেরে ফেলতে ষড়যন্ত্র করে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্নভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করে।

পরে আমাকে ফেনীর পেট্রেবাংলার একটি বাসায় মানিকের ক্যাডার বাদশা-১, বাদশা-২, এনাম ফারুক সবুজকে দিয়ে দেড়মাস আটকে রাখে। এরপর মানিক আমাকে ঢাকায় নেয়ার কথা বলে তার গাড়ীতে করে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার একটি নিভৃত পল্লীতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আমাকে ভারতে পাচার করার ষড়যন্ত্র করে। এর আগে ঘোপালে বালুমহাল’র প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারিতে এক প্রবাসী বাদশার ক্যাডারদের হাতে নিহত হয়। 

ডিবি পুলিশ মোবাইল টেকিং এর মাধ্যমে আসামি ধরতে গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে। ফেনীর পুলিশ কোর্য়াটারে আবদুর রহিম প্রকাশ আফছার (আজিজুল হক মানিকের পরিচিত) আমাকে তার বাসায় আটকিয়ে মানিকের নির্দেশে পতিতা বৃত্তিতে বাধ্য করার চেষ্টা করে। 

এরপর ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মানিকের ক্যাডার ইকবালের মাধ্যমে প্রাইভেটকার পাঠিয়ে আমাকে চট্টগ্রাম যেতে বলে। চট্টগ্রাম গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাকে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয় মানিক। ওই মামলায় জেলে যাই। পরে জানতে পারি থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ মামলায় আজিজুল হক মানিককে ২ নম্বর আসামি ও ইকবালকে ৩ নম্বর আসামি করে চার্জশিট প্রদান করে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password