তিন মাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু

তিন মাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু

দেশে তিন মাস পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে সর্বোচ্চ ৩৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার। এ ছাড়া এক দিনের হিসাবে আট মাস পর গতকাল তিন হাজার ৫৮৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মাঝের দিনগুলোতে প্রতিদিন মৃত্যু ছিল ৩৪ জনের নিচে। অন্যদিকে গত বছরের ১৫ জুলাই সর্বশেষ সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল তিন হাজার ৫৩৩ জন। এর পর থেকে প্রতিদিনই শনাক্ত ছিল এর চেয়ে কম।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা টেস্ট করা হয়েছে ২৭ হাজার ৪৫টি নমুনা। এদিকে সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৪৫ লাখ ১৪ হাজার ৭৩১টি টেস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে মোট শনাক্ত পাঁচ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৫ জন। যাদের মধ্যে মারা গেছে আট হাজার ৭৯৭ জন ও সুস্থ হয়েছে পাঁচ লাখ ২৯ হাজার ৮৯৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৩.২৬ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯০.৬৭ শতাংশ ও মৃত্যুহার ১.৫১ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (টিকাদান) ডা. সামসুল হক বিডিটাইপকে জানান, আজ শুক্রবার ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ১২ লাখ ডোজ করোনার টিকা উপহার হিসেবে দেশে আসবে। দুপুর দেড়টায় এই টিকা ঢাকায় এসে পৌঁছার শিডিউল রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অন্য সূত্র জানায়, মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ ঢাকায় আসার দিন এই টিকা নিয়ে আসছেন। এর আগে দেশে প্রথম ২০ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে পাঠায় ভারত সরকার। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বেক্সিমকো ফার্মার মাধ্যমে চুক্তির ভিত্তিতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে এক দফায় ৫০ লাখ ডোজ এবং আরেক দফায় ২০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আনতে সক্ষম হয়। সব মিলিয়ে আজ উপহারের ১২ লাখ ডোজ টিকা এলে মোট এক কোটি দুই লাখ ডোজ টিকা দেশে স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে পৌঁছবে। এর মধ্যে গতকাল দুপুর পর্যন্ত ৫১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫৬ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে আগামী ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে। ওই কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার স্বার্থে ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলতি ধাপের প্রথম ডোজ দেওয়া চালু থাকবে। ১ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজ স্থগিত থাকবে বলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password