ভারত থেকে রেলপথে বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে সরকারিভাবে ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। চলতি মাসেই আমদানি করা এসব চালের গুণগতমান নিয়ে সমস্যার কারণে চাল নেয়া বিরত রয়েছে খাদ্য বিভাগ। বর্তমানে এসব চাল তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভারত থেকে সরকারি জি টু জি উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা স্থলবন্দর দিয়ে রেলপথে সান্তাহারে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে সরকারিভাবে আনা এসব চালের ১০ হাজার মেট্রিকটন চাল বগুড়ার সান্তাহারের আঞ্চলিক খাদ্যগুদামে নেয়া হয়েছে। কিন্তু রেলপথে আসা ট্রেনের ৭ ওয়াগনে  বিবর্ণ রঙয়ের হওয়ায় চাল নিতে অসম্মতি জানিয়েছে খাদ্য বিভাগ। গত চার পাঁচ দিন ধরে এসব চালের ওয়াগনগুলো সান্তাহার জংশন স্টেশনের মালগুদাম এলাকায় একটি ও কলেজ রোডে ছয়টি রাখা হয়েছে। এদিকে এসব চালের গুণগতমান পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য ২০ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চালগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সিদ্ধান্ত নিবে খাদ্য বিভাগ। 

উপজেলার সান্তাহার আঞ্চলিক খাদ্যগুদামের ব্যবস্থাপক দুলাল উদ্দিন খান বলেন, যেসব চাল খালাস করা হয়নি সেসব চাল নষ্ট নয়। চালগুলোর গুণগত মান নিয়ে সমস্যার কারণে তদন্ত হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে যেসব চালের সমস্যা রয়েছে সেগুলো ভারতীয় প্রতিনিধি দলকে বুঝে দেয়া হবে এবং বাকি চালগুলো নেয়া হবে। বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে পরীক্ষাকালে ভারত থেকে আসা চালগুলোর মধ্যে কিছু বস্তায় বির্বণ দানার চাল বেশি পেয়েছি। এখন পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে, ভালো চালগুলো নেয়া হবে আর খারাপ চালগুলো ঠিকাদারের মাধ্যমে ফেরত পাঠানো হবে।