কক্সবাজারে এ্যাম্বুলেন্সে প্রেমিকার লাশ রেখে পালালো প্রেমিক

কক্সবাজারে এ্যাম্বুলেন্সে প্রেমিকার লাশ রেখে পালালো প্রেমিক

কক্সবাজার বেড়াতে এসে মারা যাওয়া প্রেমিকার মরদেহ এ্যাম্বুলেন্সে রেখে পালিয়ে গেছেন প্রতারক প্রেমিক। দীর্ঘ ৩২ ঘণ্টা এ্যাম্বুলেন্সে থাকার পর কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া জইল্যার দোকান এলাকা হতে সোমবার (১৫ মার্চ) বেলা ৩টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ।

রবিবার (১৪ মার্চ) সকালে মরদেহটি এ্যাম্বুলেন্সে তুলে সদর হাসপাতাল হতে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল পর্যন্ত নিয়ে পানি আনার জন্য নেমে প্রেমিক পালিয়ে যাবার পর চালক মরদেহসহ এ্যাম্বুলেন্সটি সড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখেন বলে জানান সদর থানার ওসি (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে।

এ্যাম্বুলেন্স চালক মোহাম্মদ আলমগীর জানান, রবিবার সকালে নোমান নামে একজন যুবক কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে বাইশারী যাবে বলে ভাড়া করে। মরদেহটি এ্যাম্বুলেন্সে করে শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় গেলে পানির জন্য নেমে আর ফেরেনি। উপায় না দেখে মরদেহটিসহ বাহারছড়া জইল্যার দোকান এলাকায় চলে আসি। মর্গে মরদেহ রাখলে টাকা ও পরিচয় দিতে হয় দেখে গাড়িতেই তা রেখে অপেক্ষা করেছি। পরে মৃতের মোবাইল থেকে স্বজনদের ফোন করে বিষয়টি জানায়।

নিহত তরুণীর স্বজনরা জানায়, আগের স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর বিদেশে পাড়ি জমান নিহত এই তরুণী। এসময় মোবাইলে পরিচয় হয় বাইশারী এলাকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নোমানের সঙ্গে। তিন বছর পর এই তরুণী দেশে ফিরলে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের সূত্র ধরে পরিবারের অজান্তে গত ১৩ মার্চ নোমানের সঙ্গে কক্সবাজারে বেড়াতে যায় সে। কিন্তু সোমবার সকালে এ্যাম্বুলেন্স চালকের মাধ্যমে তরুণীর মৃত্যুর খবর জানতে পারি আমরা।

নিহত তরুণীর ভাবী বলেন, নোমান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্ক করেছে। টাকা পয়সাও নিয়েছে অনেক। বিদেশে থাকাকালীনও নোমানকে টাকা দিয়েছে ফরিদা।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইন্দ্রজিত বর্মণ বলেন, সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছি। তবে প্রাথমিকভাবে কোনো দাগ বা আঘাত দেখা যায়নি।কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password