পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে আমেরিকা যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল প্রেমিক ফুসকা বিক্রেতা নিজাম উদ্দিন। আর এ বিষয়টি কাল হয়ে দাড়ায় তার জন্য। শুক্রবার রাতে হবিগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ফুসকা বিক্রেতা নিজাম উদ্দিন হত্যা মামলার আটক আমেরিকা প্রবাসী স্বামী-স্ত্রী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আটকরা হলেন, আমেরিকা প্রবাসী হবিগঞ্জ শহরের নিউ মুসলিম কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা কুদরত উল্লার ছেলে মো. হানিফ উল্লা তার স্ত্রী রোমানা আক্তার।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমল-১ আদালতে স্বামী-স্ত্রী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। জবানবন্দি শেষে স্বামী-স্ত্রীকে বিজ্ঞ আদালত হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মাসুক আলী জানান, হানিফ উল্লা কয়েক বছর আগে আমেরিকা চলে যায়। এ সুযোগে তার স্ত্রী রোমানা আক্তার মাধবপুর উপজেলার হরিণখোলা গ্রামের ইমাম উদ্দিনের ছেলে হবিগঞ্জ কলেজ রোডের ঢাকা ফুসকা হাউজের শ্রমিক নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন। রোমানা তার প্রেমিক নিজাম উদ্দিনকে আপন করে পেতে আমেরিকা নেয়ার স্বপ্ন দেখায়। সে অনুযায়ী পাসপোর্টও করায়। ভিসা পাইয়ে দিতেও চেষ্টা করে। আর এ প্রলোভনই নিজামের কাল হয়ে দাড়ায়।
প্রায় ১ মাস আগে হানিফ উল্লা দেশে আসে। ১৭-১৮ দিন আগে রোমানার সঙ্গে নিজামকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করা হয়। এক পর্যায়ে উভয়কে শাসিয়ে দেয়া হয়। এরপরও তারা পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে যায়। তখন হানিফ উল্লা ও অন্য আসামিরা নিজামকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
১২ মার্চ রাত ৯টার দিকে নিজামকে রোমানার মাধ্যমে ফোন করে ডেকে আনা হয় একটি গ্যারেজে। সেখানে হানিফ উল্লাসহ অন্য আসামিরা তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করে।
হত্যার পরই হানিফ উল্লা ও রোমানা বাচ্চাদের নিয়ে আমেরিকা চলে যাওয়ার চেষ্টাকালে বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ গত মঙ্গলবার তাদের আটক করে।
ওসি আরো জানান, রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অন্য আসামী ধরতেও পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। তারা আদালতে পরকীয়ার জন্যই ওই কর্মচারীকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন